English

29.5 C
Dhaka
শনিবার, অক্টোবর ১১, ২০২৫
- Advertisement -

নয় মাসে ডিজিটাল সহিংসতার শিকার ২৯ অভিনেত্রী

- Advertisements -

নাসিম রুমি: বাংলাদেশে অপতথ্য ও গুজবের তীর অধিংকাংশ ক্ষেত্রে নারীদের লক্ষ্য করেই ছোঁড়া হয়। এটি একটি উদ্বেগজনক সামাজিক ও ডিজিটাল সমস্যা হিসাবেও চিহ্নিত হচ্ছে। চলতি বছরের নয় মাসে যত গুজব, অপপ্রচার ও অপতথ্য ছড়িয়েছে তার ২১ শতাংশ নারীদের ঘিরে। এই সময়ের মধ্যে ২৭৬ জন নারীকে জড়িয়ে প্রায় পাঁচ শতাধিক অপতথ্য ছড়ানো হয়েছে। এসব তথ্য জানিয়েছে রিউমর স্ক্যানার।

প্রতিষ্ঠানটির অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, এসব অপতথ্যের শিকার হয়েছেন রাজনীতি, বিনোদনসহ বিভিন্ন অঙ্গনের পরিচিত ব্যক্তিরা। এমনকি সাধারণ অনেক নারীও নিয়মিত ডিজিটাল সংহিসতার শিকার হচ্ছেন। তবে এসব নারীর মধ্যে বিনোদন জগতের নারীর সংখ্যা বেশি। শোবিজের বিভিন্ন মাধ্যমের নারীদের নিয়ে ভুয়া ভিডিও, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই দিয়ে তৈরি কনটেন্ট, যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ কনটেন্ট কিংবা মৃত্যুর গুজবও ছড়ানো হয়েছে।

ডিজিটালি এসব সহিংসতার কারণে সামাজিকমাধ্যমে নারী শিল্পীরা প্রতিনিয়ত হেনস্তার শিকার হচ্ছেন। এটিও নতুন কিছু নয়। প্রায়ই নানা ধরনের কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য, বডি শেমিং, এমনকি অপতথ্যের শিকারও হতে হচ্ছে তাদের। এরমধ্যে যোগ হয়েছে ডিপফেক প্রতারণা। সম্প্রতি এই ডিপফেক ছবি কিংবা ভিডিওর কারণে শিল্পীরা হচ্ছেন বিব্রত, রয়েছেন নিরাপত্তাহীনতায়। এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশও করেছেন। কিন্তু দিনে দিনে এর মাত্রা বেড়েই চলেছে।

রিউমর স্ক্যানারের তথ্যমতে, চলতি বছরের নয় মাসে শোবিজের ২৯ নারীকে জড়িয়ে ছড়ানো হয়েছে ৬৮টি গুজব ও অপতথ্য। এর মধ্যে ৫০টি কনটেন্টের ক্ষেত্রে এআই বা ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার লক্ষ্য করা গেছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সামাজিকমাধ্যমে অপতথ্যের শিকার নারীদের মধ্যে শোবিজ তারকা বেশি। অপতথ্য ও ডিপফেকের শিকার হওয়া নারী শিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা, সাদিয়া আয়মান, আজমেরী হক বাঁধন, প্রার্থনা ফারদিন দীঘি, তানজিম সাইয়ারা তটিনী, বিদ্যা সিনহা সাহা মিম, তাসনিয়া ফারিণ, মাহিয়া মাহি, শবনম বুবলী, , নাজনীন নাহার নিহা, রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা, মেহজাবীন চৌধুরী, শবনম ফারিয়াসহ অনেকে। তাদের নিয়ে ছড়িয়ে দেয়া ভুয়া এসব কনটেন্টের ক্ষেত্রে ৩৬টি ঘটনাতেই ব্যবহার হয়েছে ভারতীয় নারীর ফুটেজ, যেগুলোকে বাংলাদেশের বিনোদন তারকার ছবি বা ভিডিও দাবি করে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন ফেসবুক পেইজ থেকে। সাধারণ দর্শকও এসব সত্যি ভেবেই গিলেছেন গোগ্রাসে, করেছেন ভাইরাল। আর তাতেই সম্মানহানির পাশাপাশি বিব্রতকর পরিস্থিতিতেও পড়তে হচ্ছে শিল্পীদের।

গত নয় মাসে সবচেয়ে বেশি অপতথ্যের শিকারে হয়েছেন অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মান। তাকে জড়িয়ে প্রচার হওয়া ১১টি ভুয়া কনটেন্টের ১০টিই ছিল এআই কেন্দ্রিক।

সাদিয়া জানান, যারা এই কাজটা করছে তারা ভয়াবহ ক্রাইম করছে। তাদের বিষয়ে কোনো আইনী পদক্ষেপ নিবেন কিনা এ প্রশ্নের জবাবে অভিনেত্রী বলেন, ‘এককভাবে সমাধানের পথে না গিয়ে এই সমস্যায় যারা পড়ছেন তারা একজোট হয়ে এ বিষয়টির সমাধানের পথ বের করা উচিত।’

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/o9fb
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন