ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে বন্যা ও ভূমিধসে অচল হয়ে পড়েছে কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশের বিভিন্ন অঞ্চল। প্রদেশটিতে ভূমিধসে নিহত তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এসব তথ্য জানিয়েছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, বিপর্যয়ের মুখে ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। মাত্র দুই দিনেই এক মাসের সমপরিমাণ বৃষ্টিপাত দেখেছে প্রদেশটি। বৃষ্টিতে রাস্তাঘাট ও রেললাইন তলিয়ে গেছে। ভ্যাঙ্কুভারের মতো গুরুত্বপূর্ণ বন্দর ও নিচু এলাকা কানাডার অন্য অঞ্চল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
এদিকে নতুন তিনজনের মরদেহ উদ্ধারের আগে গত সোমবার আরও একজনের মরদেহের সন্ধান মেলে। এর বাইরে আরও একজন ভূমিধসের শিকার হয়েছেন। তবে তাঁকে এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার চিফ করোনার লিসা লাপোইন্তে।
ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় চলমান বিপর্যয়ের মধ্যে আবার নতুন আশঙ্কার কথা জানিয়েছে কানাডার আবহাওয়াসংক্রান্ত সরকারি ওয়েবসাইট ‘ওয়েদার কানাডা’। প্রদেশটির উত্তরাঞ্চলে স্থানীয় সময় আজ রোববার আবারও ভারী বৃষ্টিপাতের দেখা মিলতে পারে বলে এক পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
ভ্রমণ ও পেট্রল ব্যবহারে কড়াকড়ি
ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় সড়ক ও রেলপথে যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় গত শুক্রবার প্রদেশটির বাসিন্দাদের জন্য পেট্রল ব্যবহারের পরিমাণ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ভ্রমণের ওপর কড়াকড়িও আরোপ করা হয়েছে।
ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার জননিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী মাইক ফার্নওয়ার্থ জানান, মহাসড়কগুলো পুনর্গঠনের কাজ চলছে। এ কারণে জরুরি যানবাহন ছাড়া অন্য যান চলাচল সীমিত রাখা হয়েছে। জ্বালানিসংকটের আশঙ্কায় স্থানীয় লোকজনকে আগামী ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিটি ভ্রমণ বাবদ গাড়িতে ৩০ লিটারের বেশি জ্বালানি মজুত না করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
১৪ নভেম্বর থেকে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছে ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার বাসিন্দারা। ভ্যাঙ্কুভার বন্দরের সঙ্গে যুক্ত দুটি রেললাইন বন্ধ রয়েছে। দুর্যোগের মুখে বন্ধ করতে হয়েছে জ্বালানি সরবরাহকারী একটি পাইপলাইনও। এতে প্রদেশটিতে জ্বালানি তেল ও পণ্য পরিবহন বাধার মুখে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আরও কয়েক দিন লেগে যাবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/owcb
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন