English

27.4 C
Dhaka
রবিবার, আগস্ট ১৭, ২০২৫
- Advertisement -

ইমামদের সঠিক ঈমানি কথা বলতে হবে: মাসুদ সাঈদী

- Advertisements -

পিরোজপুর-১ আসনের জামায়াত ঘোষিত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও জিয়ানগর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদী বলেছেন, আপনাদেরকে সঠিক ঈমানি কথাটি বলতে হবে, তাতে কোনো পরোয়ো করা যাবে না। মাহফিলে লোক আসলো কি আসলো না, কার পছন্দ হলো কি হলো না এসব নিয়ে চিন্তা করার অবকাশ নেই। আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে সঠিক কথাটি বান্দাকে বলতেই হবে।

শনিবার (১৬ আগস্ট) সদর উপজেলা ওলামা বিভাগ আয়োজিত আসন্ন ত্রয়োাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের নিয়ে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা মাসুদ সাঈদী এ কথা বলেন।

মাসুদ সাঈদী উপস্থিত ইমাম ময়াজ্জিনদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করেন-আমরা কি বাংলাদেশকে একটি কল্যাণী রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চাই? এ কথায় উপস্থিত ইমাম মুয়াজ্জিনরা সমস্বরে সম্মতি সূচক ‘হ্যা’ উত্তর দেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য ও পিরোজপুর জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ তাফাজ্জল হোসাইন ফরিদ। তিনি আগামী নির্বাচনে পিরোজপুরে-১ আসনে আল্লামা সাঈদীর সন্তান মাসুদ সাঈদীকে বিজয়ী করার জন্য ইমাম ময়াজ্জিনদের প্রতি আহ্বান জানান।

সদর উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা রাকিবুল হাসানের পরিচালনায় মাসুদ সাঈদী প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখছিলেন।

বর্তমান রাজনৈতিক ও প্রেক্ষাপটে ইমাম মুয়াজ্জিনদের করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে মাসুদ সাঈদী বলেন, বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী সরকার আমাদেরকে নানান রকমের দমন নির্যাতনের মাধ্যমে আলেমদের সঠিক কথা বলতে দেয়নি। তবু হকপন্থি সব আলেমকে কথা বলা থেকে বিরত রাখতে পারেনি।

তিনি বলেন, ইমামতি কোনো পেশা নয়। এটি একটি দাওয়াতি কাজ। আল্লামা সাঈদী মাহফিল করাকে কোনোদিন পেশা হিসেবে গ্রহণ করেননি। তিনি এটিকে দাওয়াতি কাজ হিসেবে নিয়ে ছিলেন। তিনি অনেক সময় অনেক জায়গায় যাওয়া আসার খরচও পাননি। তারপরও তিনি এসব বিষয়ে কোনো অভিযোগ উত্থাপন করেননি। আমাদেরকেও ইসলামের কথা বলাকে দাওয়াতের কাজ হিসেবে নিতে হবে।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের অপরাধের বিচার মূল উদ্দেশ্য নয়, জামায়াত ইসলামীর অগ্রগতিতে ঈর্ষান্বিত হয়ে আন্দোলনকে স্তব্ধ করে দেওয়ার জন্যই পরিকল্পিতভাবে নেতাদেরকে বিচারের নামে হত্যা করা হয়েছে। জামায়াত নেতাদেরকে হত্যার মাধ্যমে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার ইসলামী আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে চেয়েছিল, কিন্তু পারেনি। সুতরাং কোনো ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে এই দেশ থেকে ইসলামী আন্দোলনকে স্তব্ধ করা যাবে না।

যুদ্ধাপরাধিদের বিচার প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বলেন, যদি জামায়াতের নেতারা ’৭১ সালে কোনো অপরাধ করে থাকতেন, তাহলে এতগুলো বছর বিচার করা হয়নি কেন? তাদের বিরুদ্ধে তো কোনো থানায় একটি মামলাও করা হয়নি। তর্কের খাতিরে যদি মেনেও নেই জামায়াত নেতারা অপরাধ করেছিলেন, তাহলেও প্রশ্ন হল তারা এই ছয়জনই কি লাখ লাখ মানুষ হত্যা এবং মা-বোনের ইজ্জত লুণ্ঠনের কাজ করেছেন? এই ছয়জনই কি অপরাধ করেছিলেন? যদি এই অপরাধে আরও কেউ জড়িত থেকে থাকেন, তারা কারা? এসব প্রশ্নের কোনো সদুত্তর নেই।

তিনি বলেন, আল্লামা সাঈদীর মাহফিলে লাখ লাখ মানুষ আসতো। কেন আসতো? তিনি কি বলতেন? তিনি মূলত কোরআন থেকে কথা বলতেন, তা শুনতেই মানুষ ছুটে তার মাহফিলে আসতো।

সদর উপজেলা ওলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা মো. বেলায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রব, জেলা সেক্রেটারি অধ্যক্ষ জহিরুল হক, জেলা ওলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা আব্দুল হালিম, জেলা এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক সেখ, সদর উপজেলা আমির মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।

সদর উপজেলার সব ইউনিয়ন ওলামা বিভাগীয় সভাপতি সেক্রেটারিসহ উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/p98n
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

আল কোরআন ও আল হাদিস

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন