English

31 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৮, ২০২৪
- Advertisement -

আগামী একশো বছরকে সামনে রেখে আমি পরিকল্পনা করতে চাই: তৈমূর আলম খন্দকার

- Advertisements -

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, মানুষ এখন পরিবর্তন চায়। সিটি করপোরেশন একটা সিন্ডিকেটে পরিণত হয়েছে। যেখানে ১৭৬টি ঠিকাদারি সংস্থা সিটি করপোরেশনে লিস্টেড ছিল। সেখানে এখন মাত্র বাইশ-তেইশ জন ঠিকাদার রয়েছে। এর মধ্যে দুইজনের হাতেই সব কন্ট্রোল রয়েছে। এটা নারায়ণগঞ্জে ওপেন সিক্রেট যে দুইজন ঠিকাদার এই ঠিকাদারি ব্যবসা কন্ট্রোল করে। আমি আলী আহমদ চুনকা থেকে একটা কাজ শিখেছি, সেটা হল তিনি তার গাড়িতে কোনোন কন্ট্রাক্টর উঠতে দিতেন না। সেটা শিখে আমি বিআরটিসির চেয়ারম্যান হওয়ার পর আমার রুমে, গাড়িতে কোন কন্ট্রাক্টর ঢুকতে দিতাম না। অনেক বিষয় আছে, যেটা মানুষের চোখ এড়ানো যায় না।

বৃহস্পতিবার সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী পুল এলাকায় প্রচারণায় নেমে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।

তৈমূর বলেন, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের ব্যর্থতা ও নগরবাসীদের ক্ষোভ এবং পরিবর্তনের যে ডিমান্ড, এটাই জনগণের প্রত্যাশা। সিটি করপোরেশন অধিক মাত্রায় ট্রেড লাইসেন্স ফি, হোল্ডিং ট্যাক্স, জন্মনিবন্ধন ফি বাড়িয়েছে। পানির কল না বসিয়েই দেড় লক্ষ টাকা করে নিচ্ছে। এতে জনগণের করের বোঝা বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি যে সেবাটা পাওয়ার কথা ছিল সেটাও নগরবাসী পায়নি। যানজট, জলাবদ্ধতা ও বায়ুদূষণ মুক্ত শহর চায় নগরবাসী। নগরবাসী নাগরিক সুবিধাবঞ্চিত। নাগরিক সুবিধাটা হল এই যে প্রতিটি এলাকায় কমিউনিটি সেন্টার থাকতে হবে, মেধা বিকাশের ব্যবস্থা থাকতে হবে।

তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জে কিশোর গ্যাং বৃদ্ধি পেয়েছে পত্র-পত্রিকায় দেখেছি। কিশোরদের হাতে অল্টারনেটিভ না থাকার কারণেই কিশোর গ্যাং হচ্ছে। যেখানে খেলার মাঠ হওয়ার কথা সেখানে সিটি করপোরেশন এপার্টমেন্ট করেছে। এপার্টমেন্ট করাটা সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব না। এই এপার্টমেন্টের বিষয়ে অনেক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। বিনা টেন্ডারে এই এপার্টমেন্টের ফ্ল্যাট ও দোকান বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, মেয়র শহরকে রিপ্রেজেন্ট করে। আমরা যখন বিদেশে গিয়েছি মেয়র আমাদের রিসিভ করত এবং সেখানে আমাদের আপ্যায়ন করত। অতএব মেয়রের ব্যর্থতা সরাসরি নগরবাসীর ওপর বর্তায়। এ কারণে নগরবাসী এখন পরিবর্তন চায় এবং করের বোঝা থেকে বাঁচতে চায়।

তিনি বলেন, বিআরটিসির চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় আমি প্রতিটি বাস ট্রাকে আমার নম্বর দিয়ে রেখেছিলাম। আমি কারও ওপর নির্ভর করিনি। সরাসরি জনগণের সমস্যা শুনে সমাধান করতাম। আগামী একশো বছরকে সামনে রেখে আমি পরিকল্পনা করতে চাই। পৌর পাঠাগারকে আলী আহমদ চুনকা পাঠাগার করা হোক- এটা আমি দরখাস্ত সই করেছি। কিন্তু যে পাঠাগারটা করা হয়েছে এখানে দেড়শো লোকও বসতে পারে না। আমি করলে এটা নগরবাসীর ডিমান্ড অনুযায়ী করতাম।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন