আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য , ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু এমপি বলেছেন, আল্লাহ ব্যাতীত এমন কোন শক্তি নেই আগামী জাতীয় নির্বাচন বন্ধ করতে পারে। নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদেরব উদ্দ্যেশে তিনি বলেন যে যত ষড়যন্ত্রই করেন না কেন,? যত জায়গায়ই ধর্না দেন কেন আর যত কথাই বলেন কেন? কোন লাভ হবে না।বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ।সংবিধানের আলোকে দেশ চলছে। সংবিধানের ভিত্তিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কারো শক্তি নেই এই নির্বাচন বানচাল কিংবা পিছিয়ে দেয়ার।
২৪ আগস্ট ( বুধবার ) সকালে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইন্জিনিয়ার্স ইনিস্টিউশনে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় ১৪ দল আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আমির হোসেন আমু বলেন এদেশে হত্যা,খুন ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে যারা জড়িত তাদেরকে রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ভাবে প্রতিষ্টিত করেছে জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়া। অপ রাজনীতির যারা বাহক তাদের সকল ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করতে আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে রাজপথে থাকবে ১৪ দল।
নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে যারা কথা বলছে তাদের বক্তব্য স্পষ্ট নয় বলে মন্তব্য করেন আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন এ নিয়ে যার মাঠ গরম করতে চান,তারা কখনো জাতীয় সরকার,কখনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার আবার কখনো অন্তঃবর্তী কালীন সরকারের কথা বলছেন, আসলে তারা কি চাচ্চেন নিজেরাই জানেন না।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃনাল কান্তি দাসের সঞ্চালনায়
অলোচনাসভায় অন্যান্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, ১৪ দলের নগর সমন্বয়ক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম,প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম,এমপি, জাতীয় পার্টি জেপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার এমপি বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, গনতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, গন আাজাদী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এস কে সিকদার, বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী,সাধারণ সম্পাদক মোঃ হুমায়ূন কবির, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারন সম্পাদক এস এম মান্নান কচি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।