English

35 C
Dhaka
শনিবার, মে ৪, ২০২৪
- Advertisement -

‘সরকার দুর্নীতি দমন কমিশনকে বিএনপি দমন কমিশনে পরিণত করেছে’

- Advertisements -

সরকার দুর্নীতি দমন কমিশনকে ‘বিএনপি দমন কমিশন’-এ পরিণত করেছে বলে অভিযোগ করেছেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের মালামাল ক্রোকের আদেশের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে আজ শনিবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এই অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, ‘প্রতিহিংসাপরায়ণ এই সরকার তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা-বানোয়াট-কাল্পনিক অভিযোগে মামলা ও রায় দিয়ে গোয়েবলসের মতো মিথ্যাচার করছে। তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে নেতা-কর্মী-জনসাধারণের মনোবল বিনষ্ট করতে সরকারের ইঙ্গিতে এই আদেশ দেওয়া হয়েছে।’

‘দুর্নীতি দমন কমিশনকে যেন আজ বিএনপি দমন কমিশনে পরিণত করেছে। ফ্যাসিস্ট সরকার আবারও নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছে। আর এই চক্রান্তের হাতিয়ার হয়ে উঠেছে দুদক।’

খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘তারেক রহমান ও ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে তা অবান্তর, ভিত্তিহীন, অমূলক। যে আদেশ দেওয়া হয়েছে তা প্রতিহিংসামূলক ফরমায়েশী।’

‘বিএনপি এই সরকারের হীন এই কর্মকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছে এবং অবিলম্বে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা, ফরমায়েশি আদেশ ও রায় বাতিল করার দাবি জানাচ্ছে।’

Advertisements

তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, ‘আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে, যেসব সম্পত্তির মালিক তারেক রহমান নন, কোনো দলিলে বা চুক্তিতে যেখানে তারেক রহমানের নাম, স্বাক্ষর বা সংশ্লিষ্টতা নাই- তাঁকে সেসব সম্পত্তির গায়েবী মালিক বানিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এমনকি তারেক রহমান এবং ডা. জোবাইদা রহমানের কর পরিশোধকৃত সম্পদ নিয়েও কাল্পনিক অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।’

‘আমরা স্পষ্ট বলতে চাই, এসব মামলা, আদেশ, রায় দিয়ে তারেক রহমানের নেতৃত্ব প্রশ্নবিদ্ধ, বিতর্কিত বা ডা. জোবাইদা রহমানকে হেয়প্রতিপন্ন করতে পারবে না এবং গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ভোটাধিকার ও আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠায় চলমান আন্দোলন বিভ্রান্ত বা নস্যাৎ করতে পারবে না।’

উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান দুদকের মামলায় তারেক রহমান ও তার স্ত্রীর জোবাইদা রহমানের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেন।

চলমান দুর্নীতি দুদকের চোখে পড়ে না

খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘সরকারের নির্মম প্রতিহিংসায় দেশ আজ পুড়ে ছারখার হয়ে যাচ্ছে। দেশে বিরাজমান সীমাহীন দুর্নীতির মহাতাণ্ডব দুদকের চোখে পড়ে না। ২০০০ সালে স্বাধীন বাংলাদেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কলঙ্কের তিলক তৎকালীন আওয়ামী সরকার লাগিয়েছিল। বর্তমানে তাদের সরকারের  ছত্রচ্ছয়ায় এবং পৃষ্ঠপোষকতায় তাদের  অনুগত ব্যবসায়ী এবং নেতা-কর্মীরা দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলছে, তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ দুদক নেয় না।’

‘জনগণকে বিভ্রান্ত ও আন্দোলন দমন করতে নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে আবারও চক্রান্ত শুরু করেছে ফ্যাসিস্ট সরকার। আর এই চক্রান্তের হাতিয়ার হয়ে উঠেছে দুদক। সরকার দুদককে ব্যবহার করছে।”

Advertisements

আন্দোলন দমাতেই মিথ্যা মামলার রায়

খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘জনগণের স্রোত দেখে ভয়ের কারণেই কিন্তু তারা (সরকার) তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে মামলা চালু করে মাল ক্রোক করার এই আদেশ দিয়েছে। উদ্দেশ্য চলমান আন্দোলন স্তব্ধ করা বা দুর্বল করার জন্য এসব কাজ সরকার করছে।’

‘গত ১৪ বছর যাবত আমাদের নেতা-কর্মৗদের ওপর নির্যাতন হয়েছে, মামলা হয়েছে, গুম করা হয়েছে, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হয়েছে। তারপরও কিন্তু সাম্প্রতিক আন্দোলনে মানুষের অংশগ্রহণ দেখে বুঝতে পারেন যে, এই ধরনের নির্যাতন, মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ড কিন্তু আমাদের নেতা-কর্মীদের দমাতে পারেনি এবং জনগণকেও বিভ্রান্ত করতে পারেনি। এই কর্মকাণ্ডে কোনো কাজ হবে না।’

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, এ জেড মোহাম্মদ আলী, কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, আবদুস সালাম আজাদ, কায়সার কামাল, মীর সরাফত আলী সপু প্রমুখ নেতা উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিবাদ মিছিল

তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় মালামাল ক্রোকের আদালতের আদেশের প্রতিবাদ জানাতে সকাল থেকে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তরের নেতা-কর্মীরা সমবেত হয়। তারা সকাল ও দুপুরে আলাদা আলাদাভাবে বিক্ষোভ মিছিল করে, যা কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল রেস্তোরাঁর মোড় ঘুরে আবার পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন