আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু এমপি বলেছেন, হাতে গোনা গুটিকয়েক রাজাকার,আলবদর ছাড়া সেদিন সাড়ে সাত কোটি বাঙালিই মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিল। এদেশের সাধারণ জনগণ সেদিন বঙ্গবন্ধুর আহবানে সাড়া দিয় একাট্টা হয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে ছিল। এই স্বাধীন বাংলাদেশ এদেশের সাধারণ জনগণের যুদ্ধের ফসল।
২০ ডিসেম্বর ( মঙ্গলবার) বিকেলে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতি আয়োজিত ” বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ ‘ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আমির হোসেন আমু বলেন মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি যারা অংশ নিতে পারেননি তারা সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করে মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্নভাবে সহায়তা করেছেন এবং অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন।
তিনি বলেন বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ছয় দফা কর্মসূচি ছিল স্বাধীনতার মূলমন্ত্র আর ৭ মার্চের ভাষণে ছিল মুক্তিযুদ্ধের সকল দিক নির্দেশনা ও স্বাধীনতার ঘোষণা। আজ যারা স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে বিতর্ক তোলেন তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে না।
বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির সভাপতি, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব সাজ্জাদুল হাসানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী প্রফেসর ড. শামসুল আলম। বক্তব্য রাখেন স্বাধীনতা পুরস্কার ও পদ্মাশ্রী পদক প্রাপ্ত লেঃ কর্নেল ( অবঃ) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির বীর প্রতীক।