সামনে রমজান মাস, এসময় বিদ্যুৎ, গ্যাসের দাম বাড়ানো অসহনীয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ও জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। এ মুহূর্তে দাম না বাড়িয়ে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার দাবি জানান তিনি।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে মুজিবুল হক চুন্নু এ দাবি জানান। এসময় ডেপুটি স্পিকার অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
চুন্নু বলেন, আজই দেখলাম সরকার বিদ্যুতের দাম প্রতি ইউনিটে ৪০ থেকে ৭০ পয়সা বাড়িয়েছে এবং গ্যাসের দামও বাড়িয়েছে। কারণটা বলেছেন যে ডলারের ডি ভ্যালুয়েশন এবং ভর্তুকি কমানো।
তিনি বলেন, আমরা জানি না বিদ্যুতের প্রতি ইউনিট সরকারের উৎপাদন বা কিনতে কত খরচ হয়। কিন্তু সব সময় বলে আসছে যে হাজার হাজার টাকা ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে, সেই ভর্তুকি কমাতে হবে। এবং আগামী তিন বছরের মধ্যে প্রায় ৪৩ হাজার কোটি টাকার ভর্তুকি সেটা কমাবে। কমাবেন কমান, কিন্তু কীভাবে কমাবেন। যে জনগণ নিষ্পেষিত বাজারে যেতে পারছে না, বেকারত্ব বৃদ্ধি হচ্ছে, বিদ্যুতের দাম বাড়া মানে এর সঙ্গে অনেক জিনিসপত্রের দাম বাড়বে। কারণ বিদ্যুতের সঙ্গে, আমরা অনেক পণ্য উৎপাদন করি, সে পণ্যগুলোর দাম বেড়ে যাবে।
চুন্নু বলেন, গ্যাসের দাম বাড়িয়েছেন। নারায়ণগঞ্জ এবং গাজীপুরে অনেক গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি গ্যাসনির্ভর। সেই সব ফ্যাক্টরিতে কিন্তু গ্যাস দিতেও পারছেন না সার্বক্ষণিক। সেখানে কোনো দিন গ্যাস দেন কোনো দিন দিতে পারেন না। এমনিই ব্যবসায়ীদের লোকসান, উৎপাদন কমে যাচ্ছে, সেখানে আবারও গ্যাসের দাম বাড়ানো হচ্ছে।
জনগণ অনেক আশা করে মাত্র এক মাস আগে সরকার নির্বাচিত করলো, আর সেই সরকার এভাবে যদি জনগণের ওপর জগরদল পাথরের মতো এভাবে রোজার সামনে বিদ্যুতের দাম, গ্যাসের দাম বাড়ায় এটা অসহনীয়। আমি আমাদের দলের পক্ষ থেকে সরকারকে বিনীত অনুরোধ করবো অন্ততপক্ষে এ গ্যাসের দাম ও বিদ্যুতের দামটা এ সময়ে বাড়াবেন না।
তিনি বলেন, সরকার একটা স্থিতিশীলতায় আসুক, দেশের মানুষ একটা স্থিতিশীল অবস্থায় আসুক, অর্থনীতি একটা স্বাভাবিক অবস্থায় আসুক তখন চিন্তা করেন, এখন চিন্তাটা বাদ দেন। এ মূল্য বাড়ানো প্রত্যাহার করার জন্য আমি সরকারের কাছে অনুরোধ রাখছি।