English

28 C
Dhaka
মঙ্গলবার, অক্টোবর ২৮, ২০২৫
- Advertisement -

স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করুন: করোনার নতুন ঢেউয়ের শঙ্কা

- Advertisements -

করোনা মহামারি থেকে কোনোভাবেই মুক্তি মিলছে না বিশ্ববাসীর। নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে করোনায় মৃত্যু ও আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এদিকে প্রতিনিয়ত ভাইরাসটির মিউটেশন হচ্ছে, নতুন নতুন ধরন বা ভেরিয়েন্ট আসছে। সর্বশেষ যে ভেরিয়েন্টটি বিশ্বে আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠেছে সেটির নাম দেওয়া হয়েছে ওমিক্রন। দক্ষিণ আফ্রিকাসহ দক্ষিণাঞ্চলীয় আফ্রিকার সাতটি দেশে প্রথম এর বিস্তার লক্ষ করা যায়।

নতুন ভেরিয়েন্টের সংক্রমণক্ষমতা অনেক বেশি হওয়ায় বেশির ভাগ দেশ আফ্রিকার এসব দেশের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু তার পরও ঠেকানো যায়নি ভাইরাসের ছড়িয়ে যাওয়া। গতকাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানিসহ ২৫টি দেশে ওমিক্রন ছড়িয়ে যাওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশে এখনো ওমিক্রন ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত কোনো রোগী পাওয়া যায়নি। কিন্তু পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে দুজন রোগী পাওয়া গেছে। তাই বাংলাদেশেও ধরনটি ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা।

বাংলাদেশে এই মুহূর্তে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কম। দৈনিক দুই শ থেকে তিন শর মধ্যে থাকছে। পরীক্ষা বিবেচনায় আক্রান্তের হার ১ থেকে ২ শতাংশের মধ্যেই থাকছে। কিন্তু বিশ্বব্যাপী নতুন যে ঢেউ শুরু হয়েছে তার ছোঁয়া বাংলাদেশেও যেকোনো মুহূর্তে লাগতে পারে। আর ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট প্রবেশ করলে সেটি আরো ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই ওমিক্রন ঠেকাতে সরকারের পক্ষ থেকে বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এর মধ্যে আছে বিমানে ওঠার আগে করোনা নেগেটিভ সনদ দেখানো এবং ওমিক্রন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে এমন দেশ থেকে আসা যাত্রীদের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখার ব্যবস্থা। কিন্তু এতে কি ওমিক্রন ঠেকানো সম্ভব হবে? উদ্যোগগুলো কার্যকর করতে দেরি হওয়ায় এরই মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসা ২৪০ জন যাত্রী নিখোঁজ হয়ে গেছেন। তাঁদের মোবাইল ফোনও চিহ্নিত করা যাচ্ছে না।

তাঁদের কেউ আক্রান্ত হয়ে থাকলে ভেরিয়েন্টটি এরই মধ্যে ছড়িয়ে গিয়ে থাকতে পারে। যাঁদের হোটেলে কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছে তাঁরাও সেখানে নিয়মমাফিক থাকছেন না। অভিযোগ আছে, অনেকে হোটেল থেকে বেরিয়ে ঘোরাঘুরিও করছেন। এ ধরনের শিথিলতা থাকলে কোয়ারেন্টিন করেও কোনো লাভ হবে না।

সিঙ্গাপুরভিত্তিক সংক্রামক রোগের চিকিৎসকরা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন সারা বিশ্বে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। দক্ষিণ আফ্রিকায় এরই মধ্যে ওমিক্রন সংক্রমণের হার ডেল্টাকে ছাড়িয়ে গেছে। কাজেই ধরে নিতে হবে আমরাও সংক্রমণের প্রবল ঝুঁকিতে আছি এবং সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। বর্তমানে মানুষের চলাফেরা, আচার-আচরণে করোনাসংক্রান্ত সচেতনতা নেই বললেই চলে।

গণপরিবহনে গাদাগাদি করে মানুষ চলাচল করছে। গণপরিবহন, হাট-বাজার, বিপণিবিতান, অফিস-আদালত কোথাও মানুষ মাস্ক প্রায় পরছেই না। হাত ধোয়া, দূরত্ব মেনে চলার তো প্রশ্নই ওঠে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর আবারও কড়াকড়ি আরোপ করা জরুরি হয়ে উঠেছে।

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/pqqc
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন