English

35 C
Dhaka
শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪
- Advertisement -

ডরপ ‘কর্মসাথী মা-স্বপ্ন’ পুরস্কার পেলেন নিখিল ভারত হরিজন সেবক সংঘের সভাপতি

- Advertisements -

শুক্রবার (২৭ জানুয়ারী) নিখিল ভারত হরিজন সেবক সংঘের সভাপতি গান্ধীবাদী বিশ্ব মানবতার ড. শঙ্কর কুমার সান্যাল ‘কর্মসাথী মা-স্বপ্ন’ পুরস্কার পেলেন।রাজধানীর শেওড়াপাড়ার উন্নয়ন সংস্থা মাতৃত্বকালীন ভাতা ও স্বপ্ন প্যাকেজ প্রবর্তনকারী সংগঠন ডরপ কার্যালয়ে আয়োজিত মহাত্মা গান্ধীর দরিদ্রতম ও দুর্বলতম মুখ-ই স্বপ্ন প্যাকেজ মায়েদের মুখবিষয়ক আলোচনা সভায় এ সম্মাননা পদক দেওয়া হয়।

ডরপ’র উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতি ও ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য ও অনুষ্ঠানের সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী এই পুরস্কার তুলে দেন।

ডরপ’র প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও এ এইচ এম নোমানের সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, ড. হামিদুল হক, নিরাপদ সড়ক চাই চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন, মেজর জেনারেল (অব.) আবু সাঈদ মো. মাসুদ, কবি ও লেখক রোকেয়া ইসলাম, বাবুল অধিকারী প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সম্মাননা পাওয়া ড. শঙ্কর কুমার সান্যাল বলেন, ‘গ্রামের স্বপ্ন-মায়েদের সঙ্গে কথা বলে উপলদ্ধি করলাম, যারা মাতৃত্বকালীন ভাতা ও স্বপ্ন প্যাকেজের আওতায় এসে নিজেদের জীবনমান উন্নয়ন করেছেন, তারাও অন্য দরিদ্র মায়েদের এই আওতায় আনার জন্য সুপারিশ করছেন। মহাত্মা গান্ধীর চিন্তা-ভাবনার প্রতিফলন তাদের মধ্যে দেখতে পাচ্ছি। কারণ মহাত্মা গান্ধী নারী মুক্তি আন্দোলনের উদ্যোক্তা, অর্থনীতিবিদ, সমাজ সংস্কারক, ধর্ম নিরপেক্ষ, গ্রাম স্বরাজের আহ্বায়কের উদাহরণ হিসেবে বিশ্বে পরিচিত ছিলেন। এ এইচ এম নোমানের মধ্যে স্বপ্ন মায়েদের নিয়ে উন্নয়ন ভাবনা এবং এর বাস্তবায়ন রাষ্ট্র-সমাজ ও দরিদ্র পরিবারকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। তার মধ্যেও মহাত্মা গান্ধীর দৃষ্টিভঙ্গীর প্রতিফলন দেখা যায়।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সম্মাননা পাওয়া ড. শঙ্কর কুমার সান্যাল বলেন, ‘গ্রামের স্বপ্ন-মায়েদের সঙ্গে কথা বলে উপলদ্ধি করলাম, যারা মাতৃত্বকালীন ভাতা ও স্বপ্ন প্যাকেজের আওতায় এসে নিজেদের জীবনমান উন্নয়ন করেছেন, তারাও অন্য দরিদ্র মায়েদের এই আওতায় আনার জন্য সুপারিশ করছেন। মহাত্মা গান্ধীর চিন্তা-ভাবনার প্রতিফলন তাদের মধ্যে দেখতে পাচ্ছি। কারণ মহাত্মা গান্ধী নারী মুক্তি আন্দোলনের উদ্যোক্তা, অর্থনীতিবিদ, সমাজ সংস্কারক, ধর্ম নিরপেক্ষ, গ্রাম স্বরাজের আহ্বায়কের উদাহরণ হিসেবে বিশ্বে পরিচিত ছিলেন। এ এইচ এম নোমানের মধ্যে স্বপ্ন মায়েদের নিয়ে উন্নয়ন ভাবনা এবং এর বাস্তবায়ন রাষ্ট্র-সমাজ ও দরিদ্র পরিবারকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। তার মধ্যেও মহাত্মা গান্ধীর দৃষ্টিভঙ্গীর প্রতিফলন দেখা যায়।’

ড. আতিউর রহমান বলেন, ‘এই প্রকল্পটি যখন শুরু হয়, তখন ডরপ’র সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। আমাদের অনুমান ভুল ছিল না। মাকে গুরুত্ব দিলে পরিবার, সমাজ সমৃদ্ধ হয়। এর মাধ্যমে শুধু নারীর ক্ষমতায়ন হচ্ছে তা নয়, বাংলাদেশে একটি সমৃদ্ধশালী পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। পরবর্তী বাজেটে মাতৃত্বকালীন ভাতা হিসেবে স্বীকৃতি পাবে এই কর্মসূচি।

ড. আতিউর রহমান বলেন, ‘এই প্রকল্পটি যখন শুরু হয়, তখন ডরপ’র সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। আমাদের অনুমান ভুল ছিল না। মাকে গুরুত্ব দিলে পরিবার, সমাজ সমৃদ্ধ হয়। এর মাধ্যমে শুধু নারীর ক্ষমতায়ন হচ্ছে তা নয়, বাংলাদেশে একটি সমৃদ্ধশালী পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। পরবর্তী বাজেটে মাতৃত্বকালীন ভাতা হিসেবে স্বীকৃতি পাবে এই কর্মসূচি। রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, টাকার অভাবই মূল কথা নয়, ভরসা হলো সর্বহারাদের নিয়ে কাজ করে পশ্চাতে রেখেছ যারে, সে তোমাকে পশ্চাতেই টানবে। রবীন্দ্রনাথ অন্ধকার থেকে আলোর পথের যাত্রার কথা বলেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘উন্নয়নের ভালো দিক হলো অংশীদারত্ব। এনজিওরা একা কিছু করতে পারবে না। সামাজিক সম্পদ বা পুঁজি তৈরি হবে। বিনিয়োগ দরকার। বাজেট থেকে যে কর্মসূচিটা নেওয়া হয়েছে, তা মাতৃত্বকালীন ভাতা। মানুষের জীবন চলা অনেক কঠিন। এক্ষেত্রে এখানে যদি বিনিয়োগ করা হয়, তাহলে এর সুফল হলো সরকারের সার্বজনীন পেনশন কর্মসূচিতে মাতৃত্বকালীন ভাতাপ্রাপ্ত স্বপ্ন-মায়েরা যেন অগ্রাধিকার পায়।’

এ এইচ এম নোমান বলেন, ‘বাংলাদেশের সব নাগরিকের পক্ষ থেকে নিখিল ভারত হরিজন সেবক সংঘের সভাপতি গান্ধীবাদী বিশ্ব মানবতার ড. শঙ্কর কুমার সান্যালকে সম্মাননা জানাচ্ছি। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সম্পর্কের বন্ধন আরও দৃঢ় হলো।’

অনলাইনে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন এমপি আবদুস শহীদ। রোকেয়া ইসলাম মাতৃত্বকালীন ভাতা কেন্দ্রিক স্বপ্ন প্যাকেজ বিষয়ক ১০টি সুপারিশ উত্থাপন করেন। এর মধ্যে রয়েছে—মাতৃত্বকালীন ভাতাপ্রাপ্ত মা-শিশুদের তথ্য ভাণ্ডার, মা নির্বাচনে শর্ত ও গুণগতমান রক্ষায় মায়ের সংখ্যা ৫ থেকে ৬ লাখের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা, ভাতার মেয়াদ ৪ থেকে ৫ বছরে উন্নীত করা ইত্যাদি।

ডরপ’র উপনির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ যোবায়ের হাসান বলেন, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় ১৯টি জেলায় মাদারস পার্লামেন্ট নামে এই মায়েরা কাজ করছেন। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত এ ধরনের আঘাতে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, তাদের পক্ষে এসব মায়েরা জেলা-উপজেলা পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন