নাসিম রুমি: দেশি চলচ্চিত্রের আতুরঘর হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি)। একসময় শুটিং, ডাবিং, সম্পাদনা, প্রিন্ট-সবকিছু মিলিয়ে সেখানে ছিল কর্মচাঞ্চল্যে ভরা পরিবেশ। এখন সেটি অনেকটাই জৌলুশহীন, প্রাণহীন ও কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এই এফডিসি নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করলেন নন্দিত অভিনেত্রী ডলি জহুর। তিনি বলেন, ‘আমি এখন এফডিসির দিকে তাকাই না। ভাঙাচোরা এফডিসি দেখতে আমার আর ইচ্ছে করে না।’
কয়েক দশক ধরে অভিনয় করে দর্শকের ভালোবাসা কুড়িয়েছেন ডলি জহুর। এখনো তিনি নিয়মিত অভিনয় করছেন। সিনেমার চেয়ে বর্তমানে তাঁকে নাটকে বেশি দেখা যায়। আগামী ৩ জানুয়ারি থেকে প্রচারে আসছে তাঁর নতুন ধারাবাহিক নাটক ‘পরম্পরা’। গতকাল সোমবার দুপুরে নাটকটি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এই গুণী অভিনেত্রী।
তবে তিনি আশাবাদী, আবারও এফডিসি তার আগের অবস্থানে ফিরে আসবে। ডলি জহুর বলেন, ‘যেদিন এফডিসি আবার সুন্দর হবে, গোছানো হবে, সেদিন সেখানে যাব। তখন হয়তো কাজ করব না, কিন্তু দেখার জন্য হলেও সেখানে যাব।’
বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) কাজের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘একসময় আমি বিটিভিতে কাজ করতাম না। পরে আবার নিয়মিত কাজ শুরু করি। কারণ, আমি একজন শিল্পী। মন–প্রাণ দিয়ে শিল্পকেই ভালোবাসি। ঘুমাতে যাওয়ার আগে অভিনয়ের কথা ভাবি, আবার ঘুম থেকে উঠেও অভিনয়ের কথাই মনে পড়ে।’
পারিবারিক মূল্যবোধ, প্রজন্মগত দ্বন্দ্ব ও ভালোবাসার গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে নতুন ধারাবাহিক ‘পরম্পরা’। তার কথায়, ‘নির্মাতা আশিস রায় যখন আমাকে কাজের প্রস্তাব দেন, তখন আর কিছু না ভেবেই রাজি হয়ে যাই। এবারও তাই হয়েছে। এখানে আমি পরিবারের সবচেয়ে প্রবীণ সদস্যের চরিত্রে অভিনয় করেছি। আসলে এটা আমাদের জীবনেরই গল্প। আমরা আমাদের জীবনের গল্পই বারবার দেখতে চাই, সামাজিক গল্পগুলো দেখতে চাই।’
নাটকটি নিয়ে বেশ আশাবাদী ডলি জহুর। তার ভাষ্য বলেন, “একসময় ‘এসব দিনরাত্রি’, ‘সকাল-সন্ধ্যা’সহ বেশকিছু ধারাবাহিক নাটক ছিল, যা দারুণ জনপ্রিয় হয়েছিল। শুধু দেশের দর্শকই নয়, বাইরের দেশের দর্শকেরাও সেগুলো দেখেছেন। আমার বিশ্বাস, ‘পরম্পরা’ দর্শক ভালোভাবে গ্রহণ করবে। কারণ, টিভি নাটক থেকে দর্শক কখনো মুখ ফিরিয়ে নেয়নি।”
