তুরস্ক প্রথমবারের মতো সাবমেরিন মিলডেন-এর নির্মাণকাজ শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়। পাশাপাশি ন্যাটো জোটের সদস্য একটি দেশের কাছে প্রথম যুদ্ধজাহাজ রপ্তানির চুক্তিও সম্পন্ন করেছে আঙ্কারা। রোমানিয়ার সঙ্গে এ চুক্তি হয়েছে।
ন্যাটো সদস্য তুরস্ক সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশীয় প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদন বাড়িয়েছে এবং বিদেশি সরবরাহের ওপর নির্ভরতা কমিয়েছে। গত সপ্তাহে তুরস্ক জানায়, আকাশ প্রতিরক্ষা ধ্বংসকারী জাহাজ টিএফ-২০০০ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। এই জাহাজ ভবিষ্যতের বহুস্তরীয় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা স্টিল ডোম প্রকল্পের অংশ হবে।
সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ এএসএফএটি কোম্পানি রোমানিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একটি আখিসার লাইট করভেট রপ্তানির চুক্তিতে সই করেছে। ন্যাটো সদস্য কোনো দেশে তুরস্কের প্রথম এ ধরনের রপ্তানি এটি।
এর আগে তুরস্কের মানববিহীন যুদ্ধবিমান বায়রাকতার কিজিলেলমা সফলভাবে আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে একটি জেট ইঞ্জিনচালিত চলন্ত লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করেছে।
রোববার (৩০ নভেম্বর) তুরস্কের বৃহৎ ড্রোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বায়কার এক ঘোষণায় জানায়, বিশ্বের প্রথম মানববিহীন যুদ্ধবিমান হিসেবে কিজিলেলমা এই সক্ষমতা প্রদর্শন করেছে, যার মধ্য দিয়ে বিশ্বব্যাপী যুদ্ধবিমানের ইতিহাসে নতুন মাইলফলক যোগ হলো।
বায়কার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এন-সোশ্যালে এক পোস্টে জানায়, বিশ্বে প্রথমবারের মতো কোনো মানববিহীন যুদ্ধবিমান বিভিআর দূরত্বে এয়ার-টু-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে চলন্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানলো।
