মোঃ আলাল উদ্দিন: ভৈরবে দেশের জনপ্রিয় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বৈশাখী টিভির ২১ বছর পূর্তি উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৭ ডিসেম্বর শনিবার সকাল ১১টায় ভৈরব প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আলোচনা সভা শেষে কেক কেটে দিনটি উদযাপন করা হয়।
ভৈরব প্রেসক্লাব আহ্বায়ক মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ও নিরাপদ সড়ক চাই ভৈরব শাখার সভাপতি মোঃ আরিফুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রিয়াজ আহমেদ মারুকী শাহীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ, পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়র হাজী মো. শাহীন, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ভিপি মুজিবুর রহমান, সহ-সভাপতি হাজী মো. জিল্লুর রহমান।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ভৈরব টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ আসাদুজ্জামান ফারুক, ভৈরব প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব মোঃ সোহেলুর রহমান, রিপোর্টার্স ক্লাব ও ইউনিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম তাজ ভৈরবী, সাধারণ সম্পাদক ও নিরাপদ সড়ক চাই এর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলাল উদ্দিন, প্রথম আলো নিজস্ব প্রতিবেদক মোঃ সুমন মোল্লা, এটিএন বাংলা ও এটিএন নিউজের ভৈরব প্রতিনিধি মোঃ তুহিন মোল্লা, জিটিভির ভৈরব প্রতিনিধি এম এ হালিম, উপজেলা তাঁতীদলের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আরিফ মাহমুদ ফরহাদ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
আলোচনা সভার সঞ্চালনায় ছিলেন এশিয়ান টিভির ভৈরব প্রতিনিধি আলহাজ্ব সজীব আহমেদ।
আলোচনায় বৈশাখী টিভির ভৈরব প্রতিনিধি আদিল উদ্দিন আহমেদ বৈশাখী টিভির ২১ বছর পদার্পণে শুভেচ্ছা জানিয়ে এর উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করেন। বক্তারা বলেন, সমাজ গঠনে সাংবাদিকদের ভূমিকা অপরিসীম। সাংবাদিকদের কলম সমাজ পরিবর্তনের শক্তিশালী হাতিয়ার। তারা সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে একটি সুন্দর ও সচেতন সমাজ গড়ে তুলতে পারেন।
বক্তারা আরও বলেন, বিগত সরকারের সময়ে ভৈরবের প্রত্যাশিত উন্নয়ন হয়নি; বরং ভৈরবকে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। জেলা করার সুযোগও নষ্ট করা হয়েছে। বর্তমানে ভৈরব মাদক ও ছিনতাইয়ের অভয়ারণ্যে পরিণত হচ্ছে বলে তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
আলোচকরা মাদক ও ছিনতাই নির্মূলে সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতা ও সচেতন নাগরিকদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে তারা আশা প্রকাশ করেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে ভৈরবের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সার্বিক উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
