English

26.4 C
Dhaka
শুক্রবার, অক্টোবর ১০, ২০২৫
- Advertisement -

কত টাকার সম্পদ রেখে গেছেন গায়ক জুবিন?

- Advertisements -

নাসিম রুমি: মাত্র ৫২ বছর বয়সে ভারতীয় গায়ক জুবিন গার্গের আকস্মিত মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন তার লাখ লাখ ভক্ত-অনুরাগীরা। সিঙ্গাপুর থেকে তার মরদেহ আসামে পৌঁছানোর পর কার্যত থমকে যায় রাজ্যটি। লাখ লাখ শোকাহত ভক্ত-অনুরাগী গুয়াহাটিসহ রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে গিয়ে ভিড় করে; তৈরি হয় ভারতের সাংস্কৃতিক ইতিহাসের অন্যতম স্মরণীয় মুহূর্ত; যা একজন সুপারস্টারের তারকা খ্যাতিকেও হার মানায়।

৪০টি ভাষায় ৩৮ হাজারের বেশি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন জুবিন। আসামের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী ছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে কত টাকার সম্পদ রেখে গেছেন, তা নিয়েও ভক্ত-অনুরাগীদের আগ্রহের শেষ নেই।

অস্কারে যাচ্ছে বাংলাদেশের ‘বাড়ির নাম শাহানা’ গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নানা উৎস থেকে অর্থ উপার্জন করেছেন জুবিন গার্গ। এ তালিকায় রয়েছে—গান বিক্রি, লাইভ কনসার্ট, চলচ্চিত্রে অভিনয়, ব্র্যান্ড এনডোর্সমেন্ট। চলতি বছরের আগস্ট মাসে তার আয় ছিল আনুমানিক, ৩৩-৪৬ লাখ রুপি। জুবিন গার্গের মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় ৭০ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯৬ কোটি ১৩ লাখ টাকা)।

ভারতীয় অন্য তারকাদের মতো জুবিনেরও গাড়ির প্রতি আলাদা প্রেম ছিল। বিলাসবহুল গাড়ি ব্যবহার করতেন এই গায়ক। তার সংগ্রহে ছিল বিএমডব্লিউ এক্স৫, মার্সিডিজ-বেঞ্জ, রেঞ্জ রোভার ভেলার এবং একটি এসইউভি। মোটর সাইকেলের প্রতিও জুবিনের দুর্বলতা ছিল। প্রায়ই তাকে দামি ও শক্তিশালী বাইক চালাতে দেখা যেত। তার জীবনযাপন স্পষ্টভাবে তার সাফল্য এবং গাড়ি-বাইকের প্রতি ভালোবাসার প্রতিফলন ছিল।

গত ১৯ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে মারা যান জুবিন গার্গ। সময় যত গড়াচ্ছে, তার মৃত্যু নিয়ে তৈরি হচ্ছে ধোঁয়াশা। নানা ধরনের সন্দেহ দানা বাঁধছে। প্রাথমিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়ে জুবিনের মৃত্যু হয়েছে। পরে দাবি করা হয়, স্কুবা ডাইভিং নয়, সাঁতার কাটতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে। তার গানের দলের সদস্য শেখরের দাবি, বিষপ্রয়োগে হত্যা করা হয়েছে তাকে। ফলে বরেণ্য এই গায়কের মৃত্যু যেন গোলক ধাঁধায় রূপ নিয়েছে।

১৯৭২ সালের ১৮ নভেম্বর মেঘালয়ের তুরা শহরে অসমীয়া একটি ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন জুবিন গার্গ। তার বাবার নাম মোহনী মোহন ববঠাকুর, মায়ের নাম ইলি ববঠাকুর। প্রখ্যাত সংগীত পরিচালক জুবিন মেহতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মোহন-এলি দম্পতি পুত্রের নাম রাখেন জুবিন ববঠাকুর। কিন্তু পিতা-মাতার পদবি ‘ববঠাকুর’ বহন না করে, তিনি তার ব্রাহ্মণ গাত্রের (গোত্র) উপাধি ‘গার্গ’ গ্রহণ করেন। এই সিদ্ধান্তের ফলে তার একটি স্বতন্ত্র পরিচয় তৈরি হয়—যা বিশ্বজোড়া অনুপ্রেরণার সঙ্গে অসমীয় ঐতিহ্য রক্ষা করে। যদিও ‘মানব ধর্মে’ বিশ্বাসী ছিলেন জুবিন।

জুবিন গার্গ একাধারে ছিলেন গায়ক, সংগীত পরিচালক, সুরকার, গীতিকার, সংগীত প্রযোজক, অভিনেতা ও চলচ্চিত্র পরিচালক। ১৯৯২ সালে অনুষ্ঠিত যুব মহোৎসব পাশ্চাত্য একক পরিবেশনায় স্বর্ণপদক লাভ করার পর জুবিনের জীবন বদলে যায়। ১৯৯২ সালে অসমীয়া অ্যালবাম ‘অনামিকা’ মুক্তির মাধ্যমে জুবিন পেশাদার সংগীতজগতে প্রবেশ করেন। ২০০৬ সালে ‘গ্যাংস্টার’ সিনেমায় ‘ইয়া আলী’ গান গেয়ে তাক লাগিয়ে দেন জুবিন। তারপর বেশ কিছু সুপারহিট গান উপহার দেন তিনি। ভারতীয় বাংলা সিনেমার বেশ কিছু সুপারহিট গানের শিল্পী জুবিন।

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/r4nr
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন