English

39 C
Dhaka
শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪
- Advertisement -

গোবিন্দগঞ্জে ইপিজেড স্থাপনের সিদ্ধান্তে বিশৃঙ্খল উপজেলার পরিবেশ

- Advertisements -

রংপুর চিনিকলের সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্মে রংপুর রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (আরইপিজেড) গড়ে তোলার চিনিকলের জমিতে ইপিজেড স্থাপনের উদ্যোগ নিয়ে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে পক্ষে বিপক্ষে সভা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইপিজেডকে কেন্দ্র করে ক্রমেই বিশৃঙ্খল হয়ে উঠছে উপজেলার পরিবেশ।

বাংলাদেশে দেশি-বিদেশী বিনিয়োগের বিশেষ অঞ্চল হিসেবে পরিচিত রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (ইপিজেড)। শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবনায় বাংলাদেশ ক্ষুদ্র কুটির শিল্প কর্পোরেশন কর্তৃক গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ইপিজেড স্থাপনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বিষয়টি নিয়ে উপজেলার মানুষের মাঝে আনন্দ বিরাজ করছে।

দ্রুত ইপিজেড ও বিমান বন্দর স্থাপনের দাবি ও সরকা্রের প্রতি কৃতজ্ঞতাজানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। বিভিন্ন দিক তুলে ধরে তাতে নিজেদের অভিমত জানাচ্ছেন সচেতন মহল। শুধু ফেসবুকেই নয় ইপিজেট) স্থাপনের দাবীতে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচিও পালন করছে সমাজের সচেতন মহল।

ইপিজেড স্থাপন করা হলে এ উপজেলায় অর্থনৈতিকভাবে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হবে। সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডকে ব্যহত করতে ও নিজ উদ্দেশ্য হাসিল করতে কতিপয় সাঁওতাল ও বাঙ্গালী মিলে এর তীব্র বিরোধীতা করছে।

সাঁওতালদের সংগ্রাম ইতিহাস অনেক পুরোনো ও গর্বের। কিন্তু আজ তারা যা করছে, তা কোনভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্মে আখ খামার গড়ে তুলতে ১৮৪২ একর এ জমি অধিগ্রহন করা হয় ৫০ এর দশকে।যে উদ্দেশ্যে চিনিকল কর্তৃপক্ষ এ জমি অধিগ্রহন করেছিলো তাতে ব্যর্থ হয়েছে কর্তৃপক্ষ।চুক্তি ছিলো আখ চাষে ব্যবহার না হলে এ জমি সরকারের কাছে ফেরত দিতে হবে কিন্তু ২০০৪ সালে চিনিকল বন্ধ হলেও কর্তৃপক্ষ জমি সরকারকে না দিয়ে ইজারা দেয়। যেখানে আখের সাথে চাষ হয়েছে ধান, পাট, তামাকসহ নানা ফসল। ফলে পুর্ব পুরুষের জমি ফেরত পেতে মরিয়া হয়ে ওঠে সাওতাল জনগোষ্ঠী।২০১৬ সালে একত্রিত হয়ে গড়ে তোলেন ভূমি উদ্ধার কমিটি।দখল নেন পুরো বাগদা ফার্ম এলাকা। জমি উদ্ধারে ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর শুরু হয় প্রশাসনের অভিযান। একদিনে বিতারিত করা হয় সবাইকে আগুনে পুড়ে নিশ্চিহ্ন করা হয় শত শত বাড়ি ঘর। এ ঘটনায় প্রান হারায় ৩ সাওতাল, আহত হয় অনেক পুলিশ সদস্যও।শুরু হয় সরকারের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই।কিন্তু সরকারের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে দ্রুত সমাধান হবে কি না সে সংশই নিয়েই কেটে যায় ৫ বছর, গোবিন্দগঞ্জবাসী শুনতে পায় ইপিজেড স্থাপনে নীতিগত সিদ্ধান্তের কথা, শুরু হয় নানা জল্পনা-কল্পনা। অবশেষে সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে গত ২৪ আগস্ট গোবিন্দগঞ্জে রংপুর চিনিকল এলাকায় প্রস্তাবিত ইপিজেড স্থাপনের লক্ষেজেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভার প্রধান অতিথি বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল নজরুল ইসলাম ইপিজেড নির্মাণে সম্ভব্য স্থান হিসেবে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামার এলাকা পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, প্রধাণমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই এলাকায় বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির মানুষদের পূণর্বাসন ও কর্মসংস্থানের বিষয়টি সর্বাগ্রে বিবেচনা করবেন। এ ছাড়া ইপিজেড স্থাপনের ফলে এই অঞ্চলের মানুষের শিক্ষা, রাস্তা ঘাটসহ যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন ঘটবে।

অনেক পুরোনো সংগ্রাম ইতিহাস ও গর্বের অংশিদার সাঁওতালদের পূণর্বাসন ও কর্মসংস্থানের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ইপিজেড স্থাপন হলে বদলে যাবে গোবিন্দগঞ্জের চিত্র, বর্তমানে দেশ কৃষিখাতের পাশাপাশি শিল্পখাতেও এগিয়ে যাবে। কৃষিকাজ আমাদের অতীত ও বর্তমান হলেও শিল্পক্ষেত্রেই আমাদের ভবিষ্যৎ নিহিত। কৃষিক্ষেত্রের পাশাপাশি শিল্পক্ষেত্রেও দেশ বিকশিত হয়ে বঙ্গবন্ধুর পরিপূর্ণ সোনার বাংলায় পরিনত হবে। এমনটাই প্রত্যাশা গোবিন্দগঞ্জ উপজেলাবাসীর।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন