English

24 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৮, ২০২৪
- Advertisement -

রাতের আঁধারে বালু উত্তোলন ও বিপনন, নেপথ্যে কারা?

- Advertisements -

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রাখালবুরুজ ইউনিয়নে করতোয়া নদীর চরে এবার রাতের আঁধারে বালু লুট চলছে। এভাবে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাখালবুরুজ ইউনিয়নের করতোয়া নদীর তীরবর্তী ধর্মপুর বাজার, বড়দহ সেতুর আশেপাশেসহ কয়েকটি স্থানে বালু উত্তোলনের কারণে চরাঞ্চলের শত শত একর ফসলি জমি হুমকির সম্মুখীন।

বালু উত্তোলনের মূল হোতারা এলাকার প্রভাবশালী। এর আগে প্রশাসনের উদ্যোগে একাধিকবার অভিযান পরিচালনা করা হলেও কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর অদৃশ্য প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় আবার তা চালু হয়ে যায়। নেপথ্যে থাকা এসব চক্রের বিরুদ্ধে প্রশাসন কখনোই ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় তাদের অপকর্ম থামছে না।

প্রকাশ্যে অবৈধ বালু উত্তোলনের বিষয়টি ইতঃপূর্বে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এ সময় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে অভিযান পরিচালিত হলেও মূল হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। লকডাউনের কারণে এবং গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা প্রশাশনের নির্দেশে দিনে ট্রাক ও ড্রাম-ট্রাক চলাচলে প্রতিবন্ধকতা ও আটকের কারণে এখন রাতের আঁধারে অবৈধ বালু উত্তোলন ও রাতেই পাচার হচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করে কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, ধর্মপুর এলাকার চরাঞ্চলে সবচেয়ে বেশি বালু উত্তোলন হচ্ছে। লকডাউন এবং প্রশাসনের অভিযানের কারণে এবার কৌশল পরিবর্তন করে দিনের চেয়ে রাতেই বেশি বালু উত্তোলন হচ্ছে। এসব কাজে নিয়োজিত বিপুল সংখ্যক দিনমজুর। প্রভাবশালীদের নিয়োগকৃত কর্মচারী বালু বিক্রি ও ট্রাকলোডের কাজ করে।

আর মূল হোতারা থাকে পর্দার আড়ালে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিএম ইমরুল কায়েস বলেন, আমরা ওই এলাকায় কয়েক দফা অভিযান চালিয়েছি। বেশ কয়েকটি ড্রাম ট্রাক, ট্রাক, ভেকু জব্দ করার পাশাপাশি কয়েকটি মামলাও দায়ের হয়েছে। রাতের আঁধারে বালু কাটার বিষয়টি তদন্ত করে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন