English

28 C
Dhaka
শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪
- Advertisement -

খানাখন্দের সড়কে ঝাঁকুনিতে সন্তান প্রসব!

- Advertisements -

খানাখন্দে ভরা মহাসড়ক। সামান্য বৃষ্টি হলে হাঁটু পানি কিংবা কাধায় পরিণত হয় সড়কটি। যান চলাচলে অনুপযোগী দীর্ঘদিন ধরে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে পরিবহন যাত্রী ও পথচারীদের। এতে প্রায়ই ঘটছে নানান দুর্ঘটনা। এমন এক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন শেফালী খাতুন (২৮) নামে এক প্রসূতি।

শনিবার রাতে ওই প্রসূতির প্রসব ব্যাথা উঠে। পরে ভ্যানে করে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন স্বজনরা। খানাখন্দে ভরা সড়কে গাড়ির ঝাঁকুনিতে এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তিনি।

শনিবার রাত ১টার দিকে জামালপুর (নন্দীবাজার)-ধানুয়া কামালপুর-রৌমারী-দাঁতভাঙ্গা সড়কের কুড়িগ্রাম অংশের রৌমারী উপজেলা শহরের ইসলামী ব্যাংকের সামনে পৌঁছালে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযোগ রয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে এ সড়কটির সংস্কার ও সম্প্রসারণের কাজ বন্ধ থাকলেও নজরদারি নেই কারও।

প্রসূতি শেফালী খাতুন ফরিজল হকের স্ত্রী। তার বাড়ি রৌমারী সদর ইউনিয়নের রৌমারী উত্তরপাড়া গ্রামে।

শেফালী খাতুনের শ্বশুর আজিমুদ্দিন জানান, প্রসব ব্যথা উঠলে শেফালী খাতুনকে অটোভ্যানে করে হাসপাতালে নেওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া হয়। উপজেলা শহরের ইসলামী ব্যাংকের সামনে সড়ক ভাঙাচুড়া হওয়ায় গাড়িতে প্রচণ্ড ঝাঁকি লাগে। এসময় একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন শেফালী খাতুন।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে সড়কটি বেহাল অবস্থায় পড়ে থাকলেও কারো নজর নেই। সড়কটি ভালো থাকলে আজ আমার নাতির জন্ম সড়কে হতো না। আমার ছেলের বউ অসুস্থ।

রৌমারী উপজেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি সেলিম মিয়া বলেন, ২০১৮ সালে সাড়ে ৩১ কিলোমিটার সড়ক সংস্কার ও সম্প্রসারণের জন্য সরকার ৩৩২কোটি ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিলেও জনগণ এখনো এর কোনো সুফল পাচ্ছে না। দুর্ভোগ আরও বেড়ে গেছে। বিশেষ করে উপজেলা পরিষদ গেইট থেকে থানা মোড় পর্যন্ত এই সড়কটির অবস্থা খুবই খারাপ।

রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও ভারপ্রাপ্ত) আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, রাস্তার মাঝে সন্তান প্রসবের বিষয়টি জেনেছি। এতে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। সড়কের বেহাল দশার বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকসহ (সার্বিক) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে। এছাড়াও কুড়িগ্রাম সড়ক ও জনপদের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলীকেও অনেকবার বলা হয়েছে।

সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম বলেন, মাটি না পাওয়ার কারণে রাস্তার কাজ বন্ধ রয়েছে। ঠিকাদারকে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। তারা জানিয়েছেন, চলতি মাসের ১৫ তারিখ থেকে কাজ শুরু করবেন।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন