English

35 C
Dhaka
শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪
- Advertisement -

বগুড়ায় মালিহাটা-উদয়কুঁড়ি কাঁচা সড়কের বেহাল অবস্থা: সীমাহীন দুর্ভোগ

- Advertisements -

বর্ষা মৌসুমে চলাচলের একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়ে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার মালিহাটা থেকে উদয়কুঁড়ি পর্যন্ত গ্রামীণ এই কাঁচা সড়ক। এছাড়া সামান্য বৃষ্টি হলেই কাদা-পানিতে একাকার হয়ে যায় সড়কটি। এ সময় গাড়ি দূরে থাক, হেঁটে পার হওয়াই মুশকিল। তাই ওই সময় সব ধরণের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে অন্তত দশ গ্রামের সাধারণ মানুষকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
তাছাড়া এই এলাকাটির অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি কৃষি। কৃষি নির্ভর এসব গ্রামের কৃষকরা তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। এমনকি ন্যায্য দামও পাচ্ছেন না তারা। কৃষিপণ্য পরিবহন করতেও গুণতে হচ্ছে দ্বিগুণ ভাড়া। সড়কটি পাকা করা হলে দুর্ভোগ লাঘবের পাশাপাশি পরিবহন ক্ষেত্রেও খরচ কমে আসবে। একইসঙ্গে কৃষকরা তাদের কৃষি পণ্যের ন্যায্য দাম পাবেন। তাই জনগুরুত্বপূর্ণ এই কাঁচা সড়কটি দ্রুত পাকাকরণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
জানা যায়, বগুড়ার শেরপুর উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের মালিহাটা থেকে উদয়কুঁড়ি পর্যন্ত সড়কটির দৈর্ঘ্য তিন কিলোমিটার। এই সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন উঁচুলবাড়িয়া, বাঁশবাড়িয়া, উদয়কুঁড়িসহ আশপাশের অন্তত দশটি গ্রামের শতশত মানুষ চলাচল করে। শুক্রবার ও মঙ্গলবার আলতাদিঘী বোর্ডের হাটের দিন মানুষের চলাচল আরও বেড়ে যায়। এছাড়া এই রাস্তা সংলগ্ন গ্রামের শিক্ষার্থীরা রাস্তাটির কাদামাটি মাড়িয়ে মালিহাটা উচ্চ বিদ্যালয়, তাতড়া উচ্চ বিদ্যালয়, আলতাদিঘী মাদ্রাসা ও শহরের একাধিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে।
ওই এলাকার বাসিন্দা সেলিম রেজা বলেন, যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। যানবাহনতো দূরের কথা, পায়ে হেঁটে চলাও এখন দায়। কারণ রাস্তাটির মাটি এঁটেল তাই বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকেই কাদা-পানিতে একাকার। এরপর আবার ট্রাক্টর ও পাওয়া টিলার চলাচলের কারণে হাবড়ে (গভীর কাদা) পরিণত হয়েছে। বর্তমানে এই সড়কে স্থানভেদে চার থেকে পাঁচ ফুট পর্যন্ত কাদার গভীরতা আছে। এ অবস্থায় এলাকার কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য সময়মত বাজারে নিতে পারেন না। ফলে কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্যও পান না তারা।
তিনি আরও বলেন, ভোগান্তির পাশাপাশি বিপত্তির শিকারও হতে হচ্ছে তাদের। যাতায়াতের সড়কের বেহালদশার কারণে অনেকে এসব গ্রামে ছেলেমেয়ে বিয়ে দিতে চায় না। কোন আত্মীয়স্বজনও এই গ্রামে আসতে চায় না। এমনকি এসব গ্রামের কেউ অসুস্থ হলে বা কারো প্রসববেদনা উঠলে তাদের কাঁধে করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। বেহাল এই কাঁচা সড়কটির কারণে চরম মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে এই অঞ্চলের মানুষদের।
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের সদস্য (মেম্বার) মো. হাবিবর রহমান বলেন, বিকল্প কোন রাস্তা না থাকায় এ অঞ্চলের মানুষের এই রাস্তা হয়েই উপজেলা সদরে যাতায়াত করতে হয়। সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি কর্দমাক্ত হয়ে ভ্যান-রিকশা, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল, অটোরিকসা, টেম্পো, মিনি ট্রাকসহ সবধরণের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি পায়ে হেঁটে চলাও অসম্ভব হয়ে পড়ে। বছরের প্রায় অর্ধেক সময় এভাবেই চলাচলের অযোগ্য থাকে এই কাঁচা সড়কটি। বিশেষ করে বর্ষাকালে দুর্ভোগের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। ফলে তাদের কৃষিপণ্য নিয়ে বিপাকে পড়েন। পরিবহণ ক্ষেত্রেও দ্বিগুণ ভাড়া গুণতে হয়।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী মো. নূর মোহাম্মদ বলেন, ইতিমধ্যে সড়কটি পাকাকরণ করার জন্য তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার দফতরে ফাইল পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার কথাও বলেছেন তিনি। সড়কটি পাকাকরণের বরাদ্দ আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই প্রকৌশলী।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন