জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীরা শুধু নারীদের সামনে নাচতে পারবে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি কবির আহমদ।
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
কবির আহমেদ বলেছেন, ‘জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীরা শুধু নারীদের সামনে নাচবে। নারীদের নাচ পুরুষদের হয়তো দেখার সুযোগ সেভাবে থাকবে না। নারীরা নারীদের মাঝে নাচবে কোনো সমস্যা নেই।’
কবির আহমেদ বলেন, ‘জামায়াত ক্ষমতায় গেলে অবশ্যই শরীয়া আইন কায়েম করবে। তখন দেশের যে বিদ্যমান আইন আছে তার প্রয়োজন থাকবে না। ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা হলে দেশে যে বিদ্যমান আইন আছে সে বিদ্যমান আইন থেকে ইসলামী আইনে একজন নাগরিক অনেক বেশি অধিকার পাবে।’
যেমন— ধরুন নারীদের ক্ষেত্রে নারীরা তারা নিজস্ব ইচ্ছা অনুযায়ী চলাফেরা করতে পারবে। শরীয়া অনুমোদন করে যে নারী তার যেই পর্দা সেটা সে পালন করবে। পর্দা বাংলাদেশে ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠ হলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় গেলে সব নারীকে বোরকা পড়তে হবে এরকম কোনো বাধ্যবতকতা নেই’-যোগ করেন তিনি।
শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি বলেন, ‘ইসলামী শরীয়তের বিধান নারীদের জানানো হবে। তিনি তার ধর্ম, আত্মবিশ্বাস, আকিদা, ঈমান অনুযায়ী যদি তিনি ব্যক্তিগতভাবে ইচ্ছা পোষণ করেন বোরকা পরার তবে পরতে পারবেন। কিন্তু না পড়লে তাকে শাস্তিও দেওয়া হবে না। তাকে জোর করে বোরকা পরিয়ে দেওয়া হবে না। অথবা অন্য ধর্মাবলম্বীদের জন্য তো বোরকার প্রয়োজন নেই। তাদেরকে বাধ্য করা হবে না বোরকা পড়া ছাড়া ঘর থেকে বের হতে পারবে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘একটি ভ্রান্ত ধারণা আমাদের দেশে প্রতিষ্ঠিত আছে। যেমন— আমি গাজী টিভিতে টকশোতে যাচ্ছিলাম। যখন সিঁড়ি দিয়ে উঠছিলাম পরবর্তীতে লিফটে উঠলাম আমরা তিনজন। ওই গাজী টিভিরেই দুইজন সেখানকার তাদের কর্মকর্তা অথবা কি হবে একজন পুরুষ আরেকজন নারী। উনি বলেই ফেললেন যে ভাইয়েরা তো আমাদেরকে দেখতে পারেন না, যেহেতু আমি নারী। আমি বললাম আমার মেয়েও তো কাজ করে, আমার মেয়েও তো রোগী দেখে প্রতিদিন কাজ করে, চেম্বার করে। সুতরাং আপনি কাজ করছেন এটা অপরাধের কিছু নয়। ইসলাম এটা নিষেধ করে নাই।’