English

33.3 C
Dhaka
মঙ্গলবার, জুলাই ২২, ২০২৫
- Advertisement -

সুপেয় পানির ব্যবস্থা করুন: পাহাড়ে পানির কষ্ট

- Advertisements -

বছরের প্রায় অর্ধেক সময় পাহাড়ের বাসিন্দাদের পানির অভাবে কষ্ট করতে হয়। শীতের শুরু থেকেই পাহাড়ে শুরু হয় পানির কষ্ট। পানীয় জল, ধোয়ামোছাসহ নিত্যকাজের পানির অভাব থাকে বর্ষার আগ পর্যন্ত। এ সময় ঝিরিগুলো শুকিয়ে যায়। এক থেকে চার কিলোমিটার পথ হেঁটে ছড়া, ঝিরি বা কুয়া থেকে পানি সংগ্রহ করতে হয়।

প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়েছে, খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার হাজাপাড়ায় শুকনা মৌসুমের শুরুতেই পানির জন্য হাহাকার শুরু হয়েছে। বর্ষাকালে ছড়া ও কুয়ার পানি ভরসা হলেও তা শুকিয়ে গেছে। পুরো পাড়ায় কোনো নলকূপ নেই। পাথুরে পাহাড় বলে ধারেকাছে নলকূপ স্থাপনও করা যায় না। এ মৌসুমে পাড়ার পানির উৎস ছড়ার তলদেশে তৈরি করা ছোট একটি গর্ত। সেখান থেকে পানি সংগ্রহ করতে সারা দিন লাইন ধরে এলাকাবাসী।

শুধু খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার হাজাপাড়া নয়, তিন পার্বত্য জেলার প্রায় অর্ধেক মানুষ প্রাকৃতিক উৎস থেকে পানি সংগ্রহ করে। দুর্গম পাহাড়ি এলাকাগুলোতে সুপেয় বা খাওয়ার পানির জন্য মূলত প্রাকৃতিক ছড়া, ঝিরি ও কুয়ার পানির ওপর নির্ভর করতে হয়। এ জায়গাগুলোতে পানি শুকিয়ে যাওয়ার ফলে খাওয়ার পানির জন্য এসব এলাকার মানুষ হেঁটে দূর থেকে পানি সংগ্রহ করে।

পাহাড়ি এলাকার মানুষ বেশির ভাগই পাহাড়ের ওপর বসবাস করে। সেখানে গভীর নলকূপ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। কিছুটা নিচু জায়গায় পানির স্তর পাওয়া গেলেও সেখান থেকেও পানি সংগ্রহ করতে কষ্ট হয়। আবার শুকনা মৌসুমে ঝিরি-ঝরনা শুকিয়ে যাওয়ায় পানির স্তরও পাওয়া যায় না। শুধু বর্ষা মৌসুমেই ঝিরি-ঝরনাগুলোতে পানি পাওয়া যায়।

পাহাড়ি এলাকার উন্নয়নে যাঁরা কাজ করেন তাঁদের মতে, পাহাড়ের ঝিরিতে পানির উৎস হিসেবে কাজ করত মৌজা বন। অনেক বন ধ্বংস হওয়ার দরুন পানির উৎস নষ্ট হয়েছে। ফলে শুকনা মৌসুম শুরু হলেই বিশেষ করে সুপেয় পানির সংকট শুরু হয়।

অনেকে মনে করেন, এই সংকট কাটাতে এবং দীর্ঘ মেয়াদে এ সমস্যার সমাধান করতে হলে পানির উৎসস্থলে বনায়ন ও বাঁশ লাগাতে হবে। এ ছাড়া বাঁধ দিয়ে পানি ধরে রেখে গ্রামে গ্রামে পানি পৌঁছানোর মাধ্যমেও এর সমাধান করা সম্ভব। এর জন্য দরকার সঠিক পরিকল্পনা। মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে। পাহাড়ের মানুষও এ দেশের নাগরিক। তাদের কাছে সব সুবিধা পৌঁছে দিতে হবে। শুধু খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার হাজাপাড়া নয়, সব পাহাড়ি এলাকার সুপেয় পানির কষ্ট দূর করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ত্বরিত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/s3jr
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন