English

29 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৮, ২০২৪
- Advertisement -

সিলেটে জ্বালানি তেলের সংকট: ২৮ ফেব্রুয়ারী থেকে লাগাতার ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি

- Advertisements -

চট্টগ্রাম থেকে নিরবচ্ছিন্ন রেলের তেলবাহী ওয়াগন না আসায় এবং সিলেটের গ্যাস ফিল্ডগুলোর খনি থেকে জ্বালানি তেল উৎপাদন বন্ধ রাখায় গত ছয় মাস থেকে সিলেটে জ্বালানি তেলের সংকট দেখা দিয়েছে। এই সংকট সমাধানের জন্য ব্যবসায়ীরা একাধিকবার জেলা প্রশাসনের দারস্থ হলেও কোন সুরাহা হয়নি। দ্রুত জ্বালানি তেলের সংকট সমাধান না হলে লাগাতার ধর্মঘটের ডাক দিবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সিলেটের পাম্প মালিকরা।
পাম্প মালিকরা জানান, চাহিদার তুলনায় তেল সরবরাহ কম হওয়ায় বিভাগের ১১৪টি পেট্রোল পাম্প বন্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

পাম্প মালিকরা আগামী রোববার ২৮ ফেব্রুয়ারি মধ্যে সিলেটে তেল সংকটের সমাধান না হয় তাহলে লাগাতার ধর্মঘটের ডাক দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন। এর আগে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স, ডিস্ট্রিবিউটার্স এজেন্টস অ্যান্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের গত ২৭ ডিসেম্বর ধর্মঘটের ডাক দিলেও জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ২৬ ডিসেম্বর ধর্মঘট স্থগিতের ঘোষণা দেন অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা। সিলেট বিভাগের চার জেলায় ১১৪টি পেট্রোল পাম্প রয়েছে। এর মধ্যে সিলেট মহানগরীতে ৪৫টিসহ জেলায় ৭০টি পাম্প রয়েছে।

এদিকে ২২ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকালে সিলেট বিভাগ পেট্রোল পাম্প অ্যান্ড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আ.ন.ম বদরুদ্দোজার সাথে দেখা করে পূনরায় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ তাদের সমস্যা ও তেল সংকটের বিষয়ে অবগত করেন। এসময় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিলেটে তেলের সংকট সমাধান করার জন্য বিষয়টি রেলওয়ের কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে দ্রুত সমস্যা সমাধান করার আশ্বাস দেন।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলারস ডিস্ট্রিবিউটরস এজেন্ট অ্যান্ড পেট্রোলিয়াম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব ও সিলেট বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমদ চৌধুরী জানান, আমাদের সমস্যার কথা একাধিকবার জেলা প্রশাসনকে জানালেও তারা আমাদের কথা রাখেননি। এমনকি তাদের আশ্বাসে আমরা ধর্মঘট স্থগিত করেছি। আমাদের কাছ থেকে জেলা প্রশাসক মহোদয় সময় নিয়েছিলেন সমস্যা সমাধান করার। কিন্তু তাতে কোন লাভ হয়নি। সমস্যা রয়ে গেছে। আমরা জেলা প্রশাসনকে আমাদের বক্তব্য জানিয়ে দিয়েছি যে, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি রবিবার মধ্যে সিলেট বিভাগের তেলের যে সংকট রয়েছে তা সমাধান না হলে এবং সিলেট গ্যাস ফিল্ড থেকে তেল উৎপাদন শুরু না করলে লাগাতার ধর্মঘট চলবে।

তিনি আরও বলেন, সিলেটে ডিজেল সরবরাহ ওয়াগননির্ভর হওয়ায় প্রায় নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। এছাড়া সিলেটের গোলাপগঞ্জের গ্যাস ফিল্ডের খনি থেকে জ্বালানি তেল উৎপাদন প্রায় ছয় মাস বন্ধ থাকায় সংকট কাটিয়ে ওঠা যাচ্ছে না। সিলেটে প্রতিদিন ১০ লাখ লিটারেরও বেশি জ্বালানি তেলের চাহিদা থাকলেও প্রতিদিন তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ লিটার তেল আসছে।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, প্রথম পর্যায়ে ২৪টি ওয়াগন দিলেও পরে তা কমিয়ে ২০টি ওয়াগনে তেল সরবরাহ করা শুরু হয়। ফেঞ্চুগঞ্জের রেল দুর্ঘটনার পর চট্টগ্রাম থেকে বর্তমানে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ পর্যন্ত রেলের ২০টি ওয়াগন আসছে। শায়েস্তাগঞ্জে আসার পর ১০টি করে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এতে পর্যাপ্ত পরিমাণ তেল সরবরাহ করা যাচ্ছে না। এ কারণে তেল পরিবহণে বেশি সময় লাগছে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন