গাজামুখী মানবিক সহায়তা বহরের সঙ্গে আটক হওয়ার পর ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের শিকার হওয়ার অভিযোগ তুলেছেন সুইডেনের অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। দেশে ফিরে মঙ্গলবার স্টকহোমে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, আটক অবস্থায় তাকে এবং তার সহকর্মীদের বিশুদ্ধ পানি দেওয়া হয়নি, এমনকি যাদের ওষুধ প্রয়োজন ছিল, তাদেরও তা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
থুনবার্গ বলেন, আমাদের সঙ্গে যা ঘটেছে, তা ব্যক্তিগতভাবে জানাতে চাই না। কারণ, আমি চাই না যে শিরোনাম হোক— ‘গ্রেটাকে নির্যাতন করা হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাদের অভিযানে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা নামের নৌবহরের সঙ্গে থুনবার্গসহ আরও ৪৭৮ জনকে আটক করা হয়। নৌবহরটি গাজায় ত্রাণসামগ্রী নিয়ে যাচ্ছিল এবং অবরুদ্ধ ওই অঞ্চলের মানবিক বিপর্যয়ের বিষয়ে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছিল।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আটক ব্যক্তিদের ওপর কোনো ধরনের নিপীড়নের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এক মুখপাত্র দাবি করেন, ‘সব আটক ব্যক্তিকে পানি, খাবার ও শৌচাগার ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তাদের সব আইনি অধিকারও রক্ষা করা হয়েছে।
তবে সুইডিশ মানবাধিকারকর্মীরা অভিযোগ করেছেন, আটক অবস্থায় থুনবার্গকে ধাক্কা দেওয়া হয়েছিল এবং তাকে ইসরায়েলের পতাকা পরতে বাধ্য করা হয়। যদিও এ বিষয়ে থুনবার্গ নিজে সংবাদ সম্মেলনে কোনো মন্তব্য করেননি।
অন্যদিকে, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের দাবি, গাজায় দুর্ভিক্ষ বা খাদ্যসংকটের খবর অতিরঞ্জিত। তাদের মতে, ফ্লোটিলার এমন অভিযান আসলে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে সুবিধা দেয়।
এ ঘটনার পর সুইডিশ সরকার জানিয়েছে, গাজায় ভ্রমণ না করার জন্য তারা বারবার সতর্ক করেছিল।
তবুও আটক নাগরিকদের কনস্যুলার সহায়তা দেওয়া হয়েছে এবং ইসরায়েলকে যথাযথ আচরণের আহ্বান জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত জুনেও গাজা অভিমুখে নৌবহরে যোগ দিয়ে একইভাবে আটক হয়েছিলেন থুনবার্গ। গাজায় ২২ লাখেরও বেশি মানুষ এখন গৃহহীন ও মারাত্মক খাদ্যসংকটে ভুগছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।