সকাল, দুপুর, রাত বা সন্ধ্যার নাশতার টেবিলে সবার পচ্ছন্দের মেন্যুতে থাকে নুডলস। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যখন-তখন নুডলস খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর। গবেষণা বলছে, সপ্তাহে দুবারের বেশি নুডলস খেলে মেটাবলিজমের হার কমে যায়। এ ছাড়া নুডলস হলো প্রক্রিয়াজাত খাবার, যাতে ফাইবার ও প্রোটিনের পরিমাণ খুব কম।
নুডলসের মূল উপাদান ময়দা। ময়দায় রয়েছে প্রিজারভেটিভ, যা খেতে সুস্বাদু হলেও কোনো পুষ্টিগুণ নেই। নুডলসে যে ফ্যাটি এসিড রয়েছে তা ওজন বাড়ায় এবং হজমশক্তি কমায়। এ ছাড়া ভোজ্য উদ্ভিজ তেল, চিনি, চিনির সিরা,গন্ধবর্ধনকারী দ্রব্য শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
এ ছাড়া নুডলসে থাকা সোডিয়াম স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক, যা উচ্চ রক্তচাপের আশঙ্কা বাড়ায়। বড়দের মতো শিশুদের জন্যও নুডলস বেশি খাওয়া ক্ষতিকর। বেশি নুডলস খেলে শিশুর শরীরে অপুষ্টি দেখা দেয়।
তবে জানেন কি, নিয়মিত ইনস্ট্যান্ট নুডলস খেলে শরীরে ক্ষতির সম্ভাবনা অনেক বেশি? চলুন, জেনে নিই।
কোথায় বেশি জনপ্রিয় এই খাবার?
জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, মেক্সিকো—এই দেশগুলোতে ইনস্ট্যান্ট নুডলস খুব জনপ্রিয়। আমাদের দেশেও এর কদর বাড়ছে তরুণ ও শিশুদের মধ্যে।
কী বলছে গবেষণা?
গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত ইনস্ট্যান্ট নুডলস খান, তাদের মেটাবলিক সিনড্রোম হওয়ার ঝুঁকি বেশি। এটি এমন এক অবস্থা, যা থেকে হৃদরোগ, টাইপ-২ ডায়াবেটিস ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
নিয়মিত খেলে কী কী সমস্যা হতে পারে?
১। গ্যাস ও অ্যাসিডিটি: এই নুডলস হজমে সমস্যা করে, কোষ্ঠকাঠিন্য ও গ্যাসের সমস্যাও বাড়ে।
২।উচ্চ রক্তচাপ: এতে সোডিয়ামের পরিমাণ বেশি, যা রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়।
৩। ওজন বৃদ্ধি: বেশি খেলে বাড়ে শরীরের ওজন। কারণ এতে ক্যালোরি অনেক কিন্তু পুষ্টিগুণ কম।
৪। পুষ্টির অভাব: এতে প্রোটিন, ফাইবার, মিনারেলস খুবই কম। যা শরীরকে দুর্বল করে।
৫। মহিলাদের হরমোন ভারসাম্য নষ্ট হয় ইনস্ট্যান্ট নুডলস বেশি খেলে। পিরিয়ড সংক্রান্ত সমস্যা ও পেটব্যথার সম্ভাবনাও বাড়ে। গর্ভাবস্থায় ইনস্ট্যান্ট নুডলস খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। এতে ব্যবহৃত রাসায়নিক ও সংরক্ষক উপাদান গর্ভস্থ শিশুর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
স্বাস্থ্যকর বিকল্প কী?
ইনস্ট্যান্ট নুডলস খেতে ইচ্ছে হলে বাড়িতে নিজে তৈরি করুন। গম বা আটার নুডলস বেছে নিন। সঙ্গে দিন নানা ধরনের সবজি। রেডিমেড মসলার বদলে ব্যবহার করুন ঘরোয়া মসলা।