আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুমের দুই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩০ জনের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এবং সংশ্লিষ্ট ১২ দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার দপ্তর এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
১২ দপ্তর হলো- চিফ অব আর্মি স্টাফ, চিফ অব জেনারেল স্টাফ, এডজুটেন্ট জেনারেল (আর্মি হেডকোয়ার্টার), ডিজি ডিজিএফআই, ডিজি এনএসআই, প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (আর্মড ফোর্সেস ডিভিশন) সচিব প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, ডিরেক্টর মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স, ডিরেক্টর পার্সোনেল সার্ভিস ডিরেক্টরেট (বাংলাদেশ সেনাবাহিনী), কমান্ডেন্ট আর্মি সিকিউরিটি ইউনিট, প্রভোস্ট মার্শাল, সিইও (আর্মি এমপি ইউনিট ফর ইনফরমেশন)।
ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।তিনি জানান, গতকাল বুধবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে এই পরোয়ানা পাঠানো হয়।
এর আগে বুধবার দুই গুমের মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়ে শেখ হসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল, ডিজিএফআইয়ের সাবেক পাঁচ প্রধানসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল-১।
দুই মামলায় তাদের বিরুদ্ধে পাঁচটি করে অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন (টিএফআই) সেলের গুম মামলায় আসামি করা হয়েছে শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনকে এবং জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলের (জেআইসি) গুমের মামলায় আসামি করা হয়েছে ১৩ জনকে।
আসামিদের মধ্যে অনেকেই বিভিন্ন বাহিনীতে কর্মরত রয়েছেন।তবে ফরমাল চার্জ (আনুষ্ঠানিক অভিযোগ) দাখিলের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সংশোধিত আইন অনুযায়ী তারা কোনো পদে থাকতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর।