English

26.8 C
Dhaka
বুধবার, জুলাই ১৬, ২০২৫
- Advertisement -

পুরো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে একা লড়াই করে জিতেছি: সামিয়া রহমান

- Advertisements -

পুরো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে একাই লড়াই করে জিতেছেন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক সামিয়া রহমান।

বৃহস্পতিবার আদালতের রায়ের পর এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।

বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক সামিয়া রহমানের পদাবনতির আদেশ অবৈধ ঘোষণা করে তাকে সব সুযোগ-সুবিধাসহ পদ ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন।

প্রতিক্রিয়ায় সামিয়া রহমান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন জোর করে আমাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। যে প্রক্রিয়ার সঙ্গে আমি জড়িত ছিলাম না সেখানে এককভাবে আমাকে নিয়ে মিডিয়া ট্রায়াল করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর আমার কোনো আস্থা ছিল না। কিন্তু আমি জানতাম হাইকোর্ট আমার পক্ষে রায় দেবেন। কারণ, হাইকোর্ট প্রমাণ দেখবেন। সব প্রমাণ আমার পক্ষে ছিল। পুরো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে একা লড়াই করে আমি জিতেছি।’

সামিয়া রহমান আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন ব্যক্তি প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে আমাকে এ শাস্তির মুখোমুখি করেছে। আমি একা শক্ত হয়ে লড়াই চালিয়ে গেছি। অবশেষে আল্লাহর রহমতে আমি জয়ী হয়েছি। আমার বড় ছেলের অসুস্থতাজনিত কারণে বিনা বেতনে ছুটি চেয়েছি, সেটিও আমাকে দেওয়া হয়নি। মানবিক কারণে হলেও ছুটি দিতে পারত। যেটি আমার বিভাগের অনেক শিক্ষক পেয়ে থাকেন। আমাকে সবকিছু থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম, আল্লাহ কোনো কারণে আমার ওপর নাখোশ। কিন্তু না, আল্লাহ আমার সঙ্গেই ছিলেন। কিছু মানুষ আমার ওপর বিশ্বাস রেখেছিলেন। বিশেষ করে আমার স্বামী ও আইনজীবী (ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম), তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’

২০১৭ সালে সামিয়ার বিরুদ্ধে গবেষণা কর্মে চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ ওঠে। ২০২০ সালের একটি তদন্ত প্রতিবেদনে তার যৌথভাবে লেখা ছয়টি একাডেমিক গবেষণায় ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ লেখা চুরির বিষয়টি প্রমাণিত হয়।

এরপর শাস্তি হিসেবে ২০২১ সালের ২৯ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় তাকে সহযোগী অধ্যাপক থেকে এক ধাপ নামিয়ে সহকারী অধ্যাপক করা হয়।

ওই বছরের ৫ সেপ্টেম্বর তার পদাবনতির সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- এই মর্মে রুল জারি করে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে সামিয়া রহমানের গবেষণা জালিয়াতি সংক্রান্ত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট, গঠিত ট্রাইব্যুনালের নথিসহ সব কাগজপত্র আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছিল।

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/vhg6
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

আল কোরআন ও আল হাদিস

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন