English

26 C
Dhaka
মঙ্গলবার, জুলাই ৮, ২০২৫
- Advertisement -

মাটি খুঁড়লেই উঠে আসছে হিরের টুকরো! গুঞ্জনে গ্রামে তোলপাড়

- Advertisements -

উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্য নাগাল্যান্ডের প্রত্যন্ত গ্রামে হঠাৎ গুঞ্জন উঠল ‌‘হীরক ভাণ্ডারের’ সন্ধান মিলেছে। মাটি খুঁড়লেই উঠে আসছে হিরের টুকরো। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন খবর ছড়িয়ে পড়তেই কাতারে কাতারে গুপ্তধন সন্ধানী ভিড় করলেন ওয়ানচিং গ্রামে।
চলতি সপ্তাহের গোড়ায় নাগাল্যান্ডের মন জেলার এই গ্রামে টিলার ওপরের জঙ্গল পরিষ্কার করার সময় মাটির নিচে বেশকিছু স্ফটিকের টুকরো খুঁজে পান কয়েকজন গ্রামবাসী। তাদের মুখ থেকে খবর ছড়িয়ে পড়ে পুরো গ্রামে। সকলেই ধরে নেন, ওই স্ফটিক নির্ঘাত হিরের টুকরো। সঙ্গে সঙ্গে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় গ্রামে। সকলেই কোদাল-বেলচা-গাঁইতি কাঁধে পৌঁছে যান টিলার উপরের জঙ্গলে। শুরু হয় মাটি খুঁড়ে গুপ্তধন উদ্ধারের চেষ্টা।
এদিকে অত্যুৎসাহীরা সেই ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গে হিরে আবিষ্কারের গল্প ছড়িয়ে পড়ে দাবানলের মতো। তার জেরে ওয়ানচিং গ্রামে ভিড় জমতে শুরু করে হিরে সন্ধানীদের। বাধ্য হয়ে বহিরাগতদের প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়ানচিং গ্রাম পঞ্চায়েত। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সংক্রান্ত পোস্টের ওপরেও জারি হয়েছে কড়া বিধি-নিষেধ।
এ দিকে মন জেলার প্রত্যন্ত গ্রামের এই খবর পৌঁছেছে প্রশাসনের কানেও। উদ্ধার হওয়া স্ফটিকগুলো সত্যিই হিরে কি না, তা খতিয়ে দেখতে ওয়ানচিং গ্রামের উদ্দেশে শুক্রবার রওনা হয়েছেন চার ভূতাত্ত্বিক। ৩০ নভেম্বর অথবা ১ ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের গ্রামে পৌঁছানোর কথা। সরেজমিনে তদন্তের পরে তারা রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট জমা দেবেন।
মন জেলার ডেপুটি কমিশনার জানিয়েছেন, মাটির তলা থেকে উদ্ধার হওয়া স্ফটিক আদৌ হিরে কি না, তাই নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। তবে হিরে না হলেও স্ফটিকগুলো কোয়ার্টজ জাতীয় পাথরের ভগ্নাবশেষ বলে তিনি মনে করছেন। বিভিন্ন কাজে সহায়ক হওয়ায় তার মূল্যও কম নয় বলে তার দাবি। ফলে তাতে উপকৃত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে স্থানীয়দের, মনে করছেন ডেপুটি কমিশনার। যদিও বিশেষজ্ঞরা অনুসন্ধান না করা পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য ভিত্তিহীন হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
অন্যদিকে নাগাল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক জি টি থং জানিয়েছেন, ‘পাথরগুলো সাধারণ কোয়ার্টজ স্ফটিক। নাগাল্যান্ডের বিভিন্ন প্রান্তে হামেশাই এই স্ফটিকের দেখা পাওয়া যায়।’ তার মতে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কেউ সরল গ্রামবাসীদের ভুল বুঝিয়ে ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে। মন জেলা বা ওই অঞ্চলে এর আগে হিরের খোঁজ পাওয়া যায়নি বলেও জানান এই অধ্যাপক।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/vitl
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন