সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, সিটিডি’র বিশেষজ্ঞরা ফোনের প্রাইভেসি লক ভেঙে আরও তথ্য উদ্ধার করবেন।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, হুমাইরাকে সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর। ওইদিন তিনি দুপুর ১টার দিকে ক্লিফটন এলাকায় গিয়েছিলেন এবং দুপুর ২টার মধ্যে ফিরেও আসেন। এরপর তাকে আর বাসা থেকে বের হতে দেখা যায়নি।
কর্মকর্তারা আরও জানান, হুমাইরা ওই সময় মারাত্মক আর্থিক সংকটে ছিলেন এবং কাজ না পাওয়ায় মানসিকভাবে খুব ভেঙে পড়েছিলেন। তার মোবাইলের মেসেজ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, তিনি বারবার কাজ বা পরিচিতদের মাধ্যমে কোনো চাকরির অনুরোধ করেছেন। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তার অনুরোধকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।
এছাড়া, তার মৃত্যুর দীর্ঘ সময় পরেও বাসা থেকে দুর্গন্ধ না ছড়ানোর বিষয়টিও তদন্ত করছে কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, নভেম্বর মাসে ওই ভবনের দ্বিতীয় তলার বাসিন্দারা হুমাইরার ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ আসার অভিযোগ করেছিলেন ভবনের প্রহরীর কাছে। তবে বাড়ির মালিকপক্ষ গিয়ে কিছুই টের না পাওয়ায় বিষয়টি তখন গুরুত্ব পায়নি।
কর্মকর্তারা মনে করছেন, গন্ধ শনাক্তে এই বিলম্বের কারণেই তা পরে দুর্বল হয়ে পড়ে।
আরও জানা গেছে, দুর্ঘটনার সময় হুমাইরা কাপড় ধুচ্ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি কোনো কারণে বাথরুম থেকে বের হয়ে কিছুতে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যান এবং সেখানেই প্রাণ হারান। তার রান্নাঘরে কোনো খাবারের চিহ্ন পাওয়া যায়নি, যদিও মোবাইলে একটি ফুড ডেলিভারি অ্যাপ ছিল। তবে সেটি কাজ করছিল না।
এদিকে হুমাইরার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় তদন্তকারী কর্মকর্তারা। তারা জানান, এটি পেলে তার আর্থিক অবস্থা ও সর্বশেষ কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিতে পারে।