হাসপাতালে সন্তান প্রসবের পর ১ দিনের ভূমিষ্ঠ শিশুকে বাঁশঝাড়ে ফেলে মা পালিয়ে গেছে। শিশুটি ভূরুঙ্গামারী হাসপাতালের গাইনি বিভাগে চিকিৎসাধীন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টার সময় উপজেলার গোপালপুর গ্রামের তহিদুল ইসলামের স্ত্রী মোসা. খাদিজা খাতুন (২০) পরিচয়ে সাত মাসের গর্ভবতী এক নারী প্রসবজনিত সমস্যার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হন। ভর্তির পর তিনি একটি কন্যাসন্তান প্রসব করেন, যার নাম দেওয়া হয় সুবর্ণা। সন্তান প্রসবের পর শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) হাসপাতাল থেকে কোনো ছাড়পত্র না নিয়েই সন্তানসহ সবার অজান্তে তিনি পালিয়ে গিয়ে একদিনের ওই শিশুটিকে হাসপাতালের পাশের একটি বাঁশঝাড়ে ফেলে দেন।
শিশুটির কান্নার আওয়াজ শুনে এলাকার লোকজন শিশুটিকে উদ্ধার করে আবারও হাসপাতালে ভর্তি করেন গোপালপুর গ্রামের আলী হোসেনের স্ত্রী শাপলা বেগম। শিশুটি বর্তমানে হাসপাতালের গাইনি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছে এবং শাপলা বেগম দত্তক নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
এলাকাবাসীরা জানান, অবৈধ সন্তান হওয়ার কারণে হয়তো ভূমিষ্ঠ শিশুকে ফেলে পালিয়ে গেছেন সন্তানের মা। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এ এস এম সায়েম জানান, ভূমিষ্ঠ শিশুটি অপরিণত হওয়ায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনাটি থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে। শিশুটির প্রকৃত পরিচয় পাওয়া না গেলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা নিয়ে দত্তক বা শিশু সদনে হস্তান্তর করা হবে।
ভুরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহা. আতিয়ার রহমান বলেন, হাসপাতালের রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ নামের তালিকা অনুযায়ী শিশুটির মা ও বাবার পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। এখনও পাওয়া যায়নি। পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।