পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির দেশের নেতৃত্ব পরিবর্তনের সব গুজব সরাসরি নাকচ করে বলেছেন, এ ধরনের গুজব সরকার ও সেনাবাহিনী উভয়ের বিরুদ্ধেই অপপ্রচার।
বেলজিয়ামে সিনিয়র সাংবাদিক সোহেল ওয়ারাইচকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেনাপ্রধান বলেন, আল্লাহ আমাকে দেশের অভিভাবক বানিয়েছেন। অন্য কোনো পদে আমার কোনো আকাঙ্ক্ষা নেই।
গত জুলাইয়ে গুজব ছড়িয়েছিল যে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারিকে সরিয়ে সেনাপ্রধানকে রাষ্ট্রপতি বানানো হতে পারে। তবে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নাকভি তা দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছিলেন।
শাহবাজ বলেছিলেন, ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির কখনোই রাষ্ট্রপতি হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেননি, এমন কোনো পরিকল্পনাও নেই। নাকভি একে আখ্যা দেন ভিত্তিহীন প্রচারণা হিসেবে।
সাক্ষাৎকারে সেনাপ্রধান আরও বলেন, পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। এক বন্ধুর জন্য অন্য বন্ধুকে আমরা বিসর্জন দেবো না।
সম্প্রতি ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সেনাপ্রধান মুনিরকে হোয়াইট হাউজে মধ্যাহ্নভোজে আমন্ত্রণ জানান। এ ঘটনাকে দক্ষিণ এশিয়ার কূটনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তনের ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা ভারতকে অস্বস্তিতে ফেলেছে।
ট্রাম্পের শান্তির ইচ্ছাকে আন্তরিক বলে মন্তব্য করে মুনির জানান, পাকিস্তানই প্রথম তার নোবেল শান্তি পুরস্কারের মনোনয়নে সমর্থন জানিয়েছে এবং এখন অন্যান্য দেশও সে পথে হাঁটছে।
আঞ্চলিক নিরাপত্তার প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান সতর্ক করে বলেন, ভারত যেন পাকিস্তানকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা না করে।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের ১৮ ঘণ্টার কর্মদিবস এবং যুদ্ধকালীন সংকট সামাল দেওয়ার দৃঢ়তা তিনি বিশেষভাবে প্রশংসা করেন।
ব্রাসেলসে প্রবাসী পাকিস্তানিদের এক সমাবেশে মুনিরকে যুদ্ধজয়ী সেনাপতি হিসেবে অভ্যর্থনা জানানো হয়। লজিস্টিক জটিলতার শঙ্কা থাকা সত্ত্বেও তিনি কয়েক ঘণ্টা ধরে দেশবাসীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।