English

26.2 C
Dhaka
শনিবার, জুলাই ৫, ২০২৫
- Advertisement -

বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ আমাদের শোধ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

- Advertisements -

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত এবং উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার পুণর্ব্যক্ত করে বলেছেন, এর মাধ্যমেই আমাদের তাঁর রক্তের ঋণ শোধ করতে হবে। জাতির পিতা এদেশের মানুষের জন্য রক্ত দিয়ে আমাদের রক্ত ঋণে আবদ্ধ করে গেছেন। আমাদেরও একটাই লক্ষ্য তার এই রক্তের ঋণ শোধ করা।

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ১৫ অগাস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে আয়োজিত এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত আলোচনা সভায় পূর্ব ধারণকৃত এক ভিডিও বার্তায় এই কথা বলেন। ‘শোক থেকে শক্তি, শোক থেকে জাগরণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী সভাপতিত্ব করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার আত্মত্যাগ কখনও বৃথা যেতে পারে না। আমাদের একটাই লক্ষ্য তাঁর রক্তের ঋণ শোধ করতে হবে। বাংলাদেশকে জাতির পিতার ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। আর সেই প্রতিজ্ঞা নিয়ে সেই আদর্শ নিয়েই আমাদের পথচলা।

তিনি বলেন, আমি সব হারিয়েছি। আমি জানি হারানোর বেদনা খুব কষ্টকর। সেই কষ্ট সহ্য করে একটা লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি। সেই শোককে শক্তিতে পরিণত করে এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই লক্ষ্য। ইনশাল্লাহ এই বাংলাদেশকে জাতির পিতার ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ হিসেবে আমরা গড়ে তুলব। যে দেশের স্বপ্ন আমার বাবা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেখেছিলেন সেই স্বপ্ন ইনশাল্লাহ বাস্তবায়িত হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ। জাতির পিতার আহ্বানে সাড়া দিয়ে এ দেশের মানুষ অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিল। লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি।

আজীবন শোষণ-বঞ্চণার শিকার এ দেশের নিরন্ন দুঃখী জনগণের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা শোষণ-বঞ্চণা, নিপীড়ন-নির্যাতনের শিকার তাদের মুক্তির জন্যই জাতির পিতা তাঁর জীবনটাকে উৎসর্গ করেছিলেন। পরাধীনতার নাগপাশ থেকে বাংলার মানুষকে মুক্তি দিয়ে একটা উন্নত জীবন যাতে তারা পায় সেটাই জাতির পিতার একমাত্র লক্ষ্য ছিল। তিনি চেয়েছিলেন এ দেশের ক্ষুধার্ত বুভূক্ষ নর-নারী, যাদের পরনে ছিন্ন কাপড়, যারা শিক্ষার আলো ও চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত তাদের জীবনটাকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলা। তাই, নিজের জীবনটাকে তিনি উৎসর্গ করেছিলেন বাংলার মানুষের কল্যাণের জন্য, তাদের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য। ক্ষুধা-দারিদ্র থেকে মুক্তি পেয়ে বাঙালি জাতি যেন বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলতে পারে। কিন্তু, জাতির পিতা নিজের জীবনে কিছুই চাননি, বলেন তিনি।

বাংলার জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করতে গিয়ে জাতির পিতার জীবনের একটি বড় অংশ কারাগারে থাকার স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা জীবনের সব থেকে মূল্যবান সময়টাই কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে কাটিয়েছেন। তাকে বারবার হত্যার চেষ্টা করা হয়, ফাঁসি দিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়, মিথ্যা মামলা দিয়ে তাঁকে হয়রানি করা হয়। কিন্তু, সেই মিথ্যা মামলা দিয়ে তাঁকে যে হয়রানি করা হয়েছে বা এতবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে তবুও তিনি তাঁর আদর্শ থেকে এতটুকু বিচ্যুত হননি।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলার মানুষের মুক্তি অর্জনের জন্য তিনি সংগ্রাম করে গেছেন এবং তারই ডাকে সাড়া দিয়ে বাঙালি স্বাধীনতা, আত্মপরিচয়, মর্যাদা, একটি ভুখণ্ড ও একটি দেশ পেয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিশিষ্ট অভিনেত্রী এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/xkr8
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন