এর জন্য দায়ী পরজীবীটি হলো অতি ক্ষুদ্রাকৃতির রাউন্ড ওয়ার্ম বা গোল কৃমি। মশা এর বাহক। আক্রান্ত ব্যক্তিকে কামড়ানোর পর কোনো সুস্থ ব্যক্তিকে কামড়ালে তার দেহে এই পরজীবী ছড়িয়ে যায়। আক্রান্ত ব্যক্তির হাত, পা বা শরীরের অন্য কোনো অংশ অস্বাভাবিকভাবে ফুলে যায়। বাংলাদেশের ১৯টি জেলায় এই রোগের ব্যাপক প্রাদুর্ভাব ছিল। এই লিমফ্যাটিক ফাইলেরিয়াসিস নির্মূলে ২০০১ সালে জাতীয় ভিত্তিতে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। এতে সহযোগিতা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। দীর্ঘ প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ বাংলাদেশ থেকে ফাইলেরিয়া রোগটি নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে।
এর আগে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সমন্বিত প্রচেষ্টায় পৃথিবী থেকে গুটিবসন্তসহ আরো অনেক রোগ নির্মূল করা গেছে। বাংলাদেশসহ অনেক দেশ থেকে পোলিও বিদায় নিয়েছে। অথচ বাংলাদেশে একসময় কলেরা ও বসন্তে গ্রামের পর গ্রাম উজাড় হয়ে গেছে। কলেরা প্রায় নির্মূল হলেও সম্প্রতি পুনরায় প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে। ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, টাইফয়েড, ডায়রিয়াসহ পানি ও কীটপতঙ্গবাহী অনেক রোগ এখনো জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সঠিক পরিকল্পনা, সমন্বিত প্রচেষ্টা এবং আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করলে আরো অনেক রোগ থেকেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আমরা আশা করি, সরকার এই প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/y1ha