শহিদ শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যা মামলায় প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের সহযোগী কবিরকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দুই দফায় ১২ দিনের রিমান্ড শেষে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলাম তাকে কারাগারে পাঠানোর এই আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) মতিঝিল জোনাল টিমের পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ এ আসামিকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
গত ১৫ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নারায়নগঞ্জের ফতুল্লা এলাকা থেকে কবিরকে গ্রেপ্তার করে হয়। গত ১৬ ডিসেম্বর সাত দিন এবং ২৩ ডিসেম্বর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয় তার।
গত ১৪ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের বাদী হয়ে হত্যাচেষ্টা মামলাটি দায়ের করেন। পরবর্তীতে মামলাটিতে ৩০২ ধারা যুক্ত হয়েছে। মামলার পর ১১ আসামিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। অপর আসামিরা হলেন- ফয়সালের বাবা মো. হুমায়ুন কবির ও মা মোসা. হাসি বেগম, ফয়সালের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমা ও শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু, রেন্ট-এ কার ব্যবসায়ী মুফতি মো. নুরুজ্জামান নোমানী ওরফে উজ্জ্বল, ফয়সালের সহযোগী মো. কবির, ভারতে পালাতে সহযোগিতাকারী সিবিউন দিউ ও সঞ্জয় চিসিম এবং আমিনুল ইসলাম রাজু।
জুলাই অভ্যুত্থান এবং আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পরিচিতি পাওয়া ওসমান হাদি গত ১২ ডিসেম্বর গণসংযোগের জন্য বিজয়নগর এলাকায় গিয়ে তিনি আক্রান্ত হন।
চলন্ত রিকশায় থাকা হাদিকে গুলি করেন চলন্ত মোটরসাইকেলের পেছনে বসে থাকা আততায়ী। গুলিটি লাগে হাদির মাথায়।
গুরুতর আহত হাদিকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে অস্ত্রোপচার করার পর রাতেই তাকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে হাদিকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিঙ্গাপুরে গত ১৮ ডিসেম্বর মারা যান হাদি।
