আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বৃহত্তর রাজনৈতিক জোট গঠনের লক্ষ্যে ১৫টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছে জাতীয় পার্টি। রোববার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে হাওলাদার টাওয়ারে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় “জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক জোট” নামে একটি বৃহৎ রাজনৈতিক জোট গঠনের লক্ষ্যে ঐক্যমত পোষণ করা হয়।
এছাড়া জোট আত্মপ্রকাশের আগে জোটভুক্ত সকল দলের সিনিয়র নেতাদের সমন্বয়ে একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টি–জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন—
জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার,
জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো–চেয়ারম্যান এডভোকেট কাজী ফিরোজ রশিদ,
নির্বাহী চেয়ারম্যান এডভোকেট মুজিবুল হক চুন্নু,
জাপার কো–চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, জেপির মহাসচিব শেখ শহিদুল ইসলাম,জনতা পার্টি বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ার মিলন,
মহাসচিব সাংবাদিক শওকত মাহমুদ,
বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (মতিন)–এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এ এন এম সিরাজুল ইসলাম, মহাসচিব জাফর আহমেদ জয়,
বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি এডভোকেট মহসিন রশিদ,
ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান শেখ সালাউদ্দিন সালু,
বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির নির্বাহী সভাপতি মাওলানা আশরাফুল হক,
বাংলাদেশ ইসলামিক জোটের চেয়ারম্যান আবু নাসের ওহেদ ফারুক,
জাতীয় সংস্কার জোটের সভাপতি মেজর (অব.) আমীন আহমেদ আফসারী,
বাংলাদেশ মানবাধিকার পার্টির চেয়ারম্যান মো. আখতার হোসেন,
জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি–জাগপার সভাপতি মহিউদ্দিন বাবলু,
বাংলাদেশ সার্বজনীন দলের সভাপতি নূর মোহাম্মদ মনির ও সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন,
পিচ অ্যালায়েন্সের চেয়ারম্যান হাজী এস এম এ জলিল,
ন্যাপ ভাসানীর মহাসচিব জহিরুল ইসলাম।
বাংলাদেশ গণধিকার পার্টির চেয়ারম্যান মো. আক্তার হোসেন,
এস এম আশিক বিল্লাহ, চেয়ারম্যান ডেমোক্রেটিক পার্টি ও গণতান্ত্রিক জোট বাংলাদেশ,
মোহাম্মদ আনিসুর রহমান।
মতবিনিময় সভায় ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, “বাংলাদেশ এখন এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। আমরা মনে করি, আগামী ফেব্রুয়ারিতে দেশ নির্বাচনের দিকে যাবে। কিন্তু সকলের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব রয়েছে। তারপরও আমাদের নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে।
আমরা দেশের জনগণের কাছে তৃতীয় ধারার সুস্থ রাজনীতি উপহার দিতে চাই। দেশ আজ বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে দুই ভাগে বিভক্ত। আওয়ামী লীগ নির্বাচন করতে পারবে কি না সন্দেহ রয়েছে।
এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমরা যদি সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্বাচন অংশগ্রহণ করি, তাহলে আমাদের ভালো ফল করার সম্ভাবনা আছে।
আমাদের জোটের মূলমন্ত্র হবে—বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, উদার গণতন্ত্র ও সকল ধর্মের মানুষের সহাবস্থান।
এই জোট শুধু নির্বাচনী জোট হবে না; বরং আমরা আগামীতে এই জোট নিয়ে বাংলাদেশের প্রতিহিংসার রাজনীতি নির্মূল করব এবং সুস্থতার রাজনীতি বিকশিত করব।”
সূচনা বক্তব্যে জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও জোটের মুখপাত্র এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন,
“আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও দেশের ভবিষ্যতে সুস্থ ধারার রাজনীতি বিকশিত করার লক্ষ্যে, যে সকল রাজনৈতিক দল বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, উদার গণতন্ত্র ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী—তাদের নিয়ে বৃহত্তর জোট গঠনের উদ্দেশ্যে আজ (রোববার) মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় উপস্থিত ১৬টি রাজনৈতিক দলের নেতারা বৃহত্তর জোট গঠনে ঐক্যমত পোষণ করেছেন।
আমরা আশা করছি, চলতি সপ্তাহে ঢাকার একটি পাঁচ তারকা হোটেলে এ জোটের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ হবে। দেশে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ থাকলে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। তবে এখনো পর্যন্ত দেশে নির্বাচন আয়োজনের মতো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়নি।”
মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন— জাতীয় পার্টির কো–চেয়ারম্যান সাহিদুর রহমান টেপা, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, লিয়াকত হোসেন খোকা, জহিরুল ইসলাম জহির, মোস্তফা আল মাহমুদ।
প্রেসিডিয়াম সদস্য—নাসরিন জাহান রত্না, মাসরুর মাওলা, নাজমা আক্তার, মো. জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, মো. আরিফুর রহমান খান, এডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক নুরুল ইসলাম মিলন, সরদার শাজাহান, মোবারক হোসেন আজাদ, জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক, ফখরুল আহসান শাহজাদা, শাহ জামাল রানা, শেখ মাতলুব হোসেন লিয়ন।
