English

30.6 C
Dhaka
রবিবার, জুলাই ২০, ২০২৫
- Advertisement -

পুলিশকে তৎপর হতে হবে অপরাধপ্রবণতা

- Advertisements -

এক শ্রেণির মানুষ পুলিশ-প্রশাসন, বিচারব্যবস্থা, মানবিক মূল্যবোধ কোনো কিছুরই তোয়াক্কা করছে না। সামান্য কারণেই ঘটছে খুনের ঘটনা। মানুষের মধ্যে অস্থিরতা বেড়ে গেছে। গত কয়েক দিনে প্রকাশিত খবর বলছে, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো নেই।

দেশের ছয় জেলায় গত শুক্রবার ছয় খুনের অভিযোগ উঠেছে। একই দিন চার জেলায় পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে নড়াইল সদর উপজেলার আউড়িয়া ইউনিয়নের সড়াতলা গ্রামে এক গৃহবধূকে গলা কেটে ও পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের ধারণা, দাম্পত্য কলহের কারণে তাঁকে পরিকল্পিতভাবে গলা কেটে ও পুড়িয়ে হত্যা করেছেন তাঁর স্বামী। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক। চাঁদপুরে বড় ভাইয়ের হাতে ছোট ভাই খুন হয়েছেন। ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় এক কৃষকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পটুয়াখালীতে কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গাইবান্ধায় উদ্ধার করা হয়েছে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির মরদেহ। রাজবাড়ীতে জমি নিয়ে বিরোধে কৃষক খুন হয়েছেন। মাদারীপুরে পূর্বশত্রুতার জের ধরে এক যুবককে হাতুড়িপেটা করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। রাজধানীর আসাদগেট এলাকায় পিকনিক বাসে ধূমপান ও মেয়েদের উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় বলে খবরে প্রকাশ।

গত রবিবার দেশের ৯ জেলা থেকে খুন ও আত্মহত্যায় নিহত ১২ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতদের মধ্যে এক শিশুসহ সাতজন পুরুষ ও পাঁচজন নারী।  প্রকাশিত আরেক খবরে বলা হয়েছে, রাজধানীতে চলতি বছর প্রথম ৯ মাসে চুরির মামলা হয়েছে এক হাজার ৮১৬টি। খবরে আরো বলা হচ্ছে, ২০২০ সালে মাসে গড়ে ১৫৬টি চুরির মামলা হয়েছিল। ২০২১ সালে হয়েছিল ১৬৬টি। সেপ্টেম্বরে ২৩৬ ও আগস্টে ২২৪টি মামলা হয়। বাস্তবে চুরির ঘটনা আরো বেশি বলে ধারণা করা হয়। কারণ অনেক ভুক্তভোগী হয়রানির আশঙ্কায় থানা পর্যন্ত যেতে চান না। কখনো জানালার গ্রিল কেটে, কখনো খালি বাসার দরজা ভেঙে, পার্কিংয়ে রাখা গাড়ি চুরিসহ নানাভাবে অপরাধ ঘটছে। চুরি থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না পুলিশ কর্মকর্তারাও। অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সাম্প্রতিক সময়ে চুরি বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। এ ছাড়া আগের পেশাদার চোররাও সক্রিয় আছে।

সাধারণত আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে মানুষের দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়াটাই স্বাভাবিক। বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে নিম্ন আয়ের কিছু মানুষ জীবনযাত্রার মান ধরে রাখতে চুরির মতো অপরাধে নতুন করে জড়িয়ে পড়ছে। এ ছাড়া মাদকসেবী ও চোরচক্রের সদস্যরা আবার সক্রিয় হয়েছে। দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও অপরাধপ্রবণতা প্রতিরোধের দায়িত্ব মূলত পুলিশ বাহিনীর। চুরি ও ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ রোধে সামাজিক নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি পুলিশকে আরো তৎপর হতে হবে।

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/z8qy
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন