বগুড়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজাতখানার সামনে থেকে ডাকাতিসহ জোড়া খুন মামলার আসামি রফিকুল ইসলাম (৪০) কৌশলে পালিয়ে গেছেন।
সোমবার বিকালে এ ঘটনায় ওই আসামিকে গ্রেফতারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধি ও আদালতপাড়ায় তোলপাড় শুরু হয়।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আতোয়ার রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। যাদের অবহেলায় আসামি পালিয়ে গেছে, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ, মামলা সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পলাতক আসামি রফিকুল ইসলাম বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার বশিকোড়া চকপাড়া গ্রামের নছির আকন্দের ছেলে। তিনি গত ৯ জুলাই রাতে বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার জিয়ানগর ইউনিয়নের লক্ষ্মীমণ্ডপ পূর্বপাড়া গ্রামের আফতাব হোসেন (৭০) ও তার সৌদি প্রবাসী ছেলে শাহজাহান আলীর স্ত্রী রিভা আকতারকে (৩০) হাত-পা, মুখ বেঁধে এবং শ্বাসরোধ হত্যা মামলার আসামি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর রাকিব হাসান তাকে গ্রেফতার করেন।
সোমবার রফিকুল ইসলামকে বগুড়া জেলা কারাগার থেকে আদালতে হাজিরা দেওয়ার জন্য আনা হয়েছিল। বিকাল সোয়া ৪টার দিকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দোতলায় হাজতখানা থেকে তাকে অন্যদের সঙ্গে কারাগারে ফেরত নেওয়া হচ্ছিল। এ সময় তিনি (রফিকুল) হাজতখানার সামনে থেকে কৌশলে পালিয়ে যান। কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের চোক ফাঁকি দিয়ে আসামি পালিয়ে যাওয়ায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। এরপরই আদালত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।
এছাড়া পালিয়ে যাওয়া আসামি রফিকুল ইসলামকে গ্রেফতারে বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি শুরু হয়। সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় এ খবর পাঠানো পর্যন্ত পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা এ ঘটনার জন্য কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের অবহেলাকে দায়ী করেছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর রাকিব হাসান জানান, সোমবার বিকালে আদালতের হাজতখানার সামনে থেকে পালিয়ে যাওয়া দুপচাঁচিয়ায় জোড়া খুনের আসামি রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর, দুপচাঁচিয়া ও আদমদীঘি থানায় মাদকসহ বিভিন্ন ধারায় চারটি মামলা রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে থানা পুলিশের পাশাপাশি তারাও কাজ করছেন।
