বাংলা সিনেমার কিংবদন্তি নায়ক সালমান শাহর অপমৃত্যু মামলাটি যখন হত্যা মামলায় রূপ নিচ্ছে, তখন আবারও আলোচনায় এসেছে তাঁর মৃত্যু রহস্য। নায়ককে ঘিরে একের পর এক তথ্য, সাক্ষ্য ও পুরনো ঘটনার বিশ্লেষণে ভরে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া।
এই মামলার অন্যতম আসামি (৪ নম্বর) খল অভিনেতা আশরাফুল হক ডন। মামলার প্রধান আসামি সালমান শাহর সাবেক স্ত্রী সামিরা হক। অন্য নয় আসামি হলেন—প্রযোজক আজিজ মোহাম্মদ ভাই, লতিফা হক লুসি, ডেভিড, জাভেদ, ফারুক, মেফিয়ার বিউটি সেন্টারের রুবি, আবদুস সাত্তার, সাজু এবং রেজভী আহমেদ ফরহাদ।
পাঁচ বছর আগে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত শেষে জানিয়েছিল, সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছিলেন, হত্যা নয়। সে সময় ডন স্বস্তি প্রকাশ করে বলেছিলেন, “আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন। অবশেষে কলিজার বন্ধুকে হত্যার মিথ্যা অভিযোগ থেকে মুক্ত হলাম।”
কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে আবারও সেই পুরনো ভিডিওগুলো ভাইরাল হচ্ছে। চার বছর আগে শাহরিয়ার নাজিম জয়ের উপস্থাপনায় একটি টক-শোতে অতিথি হয়ে এসেছিলেন ডন। সেখানেই সালমান শাহর মৃত্যু প্রসঙ্গে তিনি খোলামেলা কথা বলেছিলেন।
সাক্ষাৎকারে জয় সরাসরি প্রশ্ন করেন, “সালমান ভাইয়ের আত্মহত্যার কারণ কে হতে পারেন? তাঁর মা, না স্ত্রী? এক কথায় বললে?”
প্রথমে বিষয়টি ‘পারিবারিক’ বলে উল্লেখ করলেও, ডন পরবর্তীতে বলেন, “সামিরার কোনো দোষ আমি দেখি নাই।”
তিনি আরও বলেন,“সালমানের সঙ্গে সামিরার যেমন প্রেম ছিল, তেমন প্রেম আমি জীবনে দেখিনি।”
ডন দাবি করেন, সালমান শাহ জীবনের শেষ কয়েক মাসে ভীষণ মানসিক অস্থিরতার মধ্যে ছিলেন। “সালমান শাহ সুপারস্টার ছিল, টাকা-পয়সা, গাড়ি-বাড়ি সবই ছিল। কিন্তু ওকে ছয়-সাত মাসের মধ্যে কখনো স্থির দেখি নাই। বসে কথা বলবে—এমনভাবে ওকে দেখিনি,” বলেন ডন।
তাঁর মতে, সালমান শাহর জীবনের শেষ পর্যায়ে মানসিক চাপ ও হতাশাই তাঁকে বিপর্যস্ত করে তুলেছিল।
