English

28 C
Dhaka
শনিবার, এপ্রিল ২৭, ২০২৪
- Advertisement -

উদ্যোগটি আরো জোরদার হোক: পরিবার কার্ডে টিসিবির পণ্য বিক্রি

- Advertisements -
আমাদের বাজারে নানা ধরনের সিন্ডিকেট কাজ করে। সামান্য সুযোগ পেলেই তারা বাজার অস্থির করে তুলতে পারে। বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে পণ্যমূল্য বাড়িয়ে দিতে পারে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশের সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ।
যেহেতু ভোক্তার অধিকার রক্ষা করা রাষ্ট্রের কর্তব্য, তাই সিন্ডিকেটবাজির বিরুদ্ধে সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে। বাজারে যাতে কোনো পণ্যের ঘাটতি না হয়, কেউ যাতে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে না পারে সে জন্য চাহিদা অনুযায়ী বাজারে পণ্যের সরবরাহ ঠিক রাখতে হবে। আর রাষ্ট্রের পক্ষে এই কাজটি সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে পারে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ বা টিসিবি। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান যথার্থই বলেছেন, পুলিশি অভিযান বা জরিমানা করে বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা সাময়িক পদক্ষেপ হতে পারে।
স্থায়ীভাবে বাজার পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য টিসিবিকে আরো শক্তিশালী করতে হবে।
এটি স্পষ্ট যে আমাদের বাজার কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করে না। এক শ্রেণির ব্যবসায়ী ধরাকে সরা জ্ঞান করেন। চাইলেই তাঁরা জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিতে পারেন।
গত আগস্টে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। ভারত যেদিন এই ঘোষণা দেয়, সেদিনই আমাদের বাজারে পেঁয়াজের দাম ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়। অন্যদিকে সরকার কোনো পণ্যের দাম কমালেও বাজারে তার প্রভাব দেখা যায় না। ব্যবসায়ীরা বলতে থাকেন, আমাদের পণ্য আগের কেনা। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে সরকার আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছিল, কিন্তু কোনো ব্যবসায়ী সরকারের সেই ঘোষণা মানেননি।
সরকার ১৫ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছিল দুই সপ্তাহ আগে, কিন্তু এখনো আমদানি করা ডিম বাজারে আসেনি। এর আগে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হলেও পর্যাপ্ত পেঁয়াজ আমদানি হয়নি। কারণ সেসব অনুমতিও একই ব্যবসায়ী শ্রেণি পেয়ে থাকে। তারা বরং সরকারের আমদানির উদ্যোগকে ঠেকিয়ে দেয়। এসব ক্ষেত্রে সরকার টিসিবিকে সফলভাবে ব্যবহার করতে পারে।
সরকার গত জুলাই মাসে প্রথমবারের মতো নিম্ন আয়ের এক কোটি পরিবারকে দেওয়া কার্ডের মাধ্যমে চাল বিক্রি শুরু করে। এই কার্ডের আওতায় গতকাল শুরু হয়েছে আরো কয়েকটি পণ্য বিক্রি। কার্ডধারী একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ দুই লিটার সয়াবিন তেল অথবা কুঁড়ার (রাইস ব্র্যান) তেল, পাঁচ কেজি চাল, দুই কেজি করে মসুর ডাল ও পেঁয়াজ এবং এক কেজি চিনি কিনতে পারবেন। এই কার্যক্রম চলবে আগামী এক মাস। প্রাপ্যতা সাপেক্ষে আমদানি করা পেঁয়াজ শুধু ঢাকায় বিক্রি করা হবে। চিনিও প্রাপ্যতা সাপেক্ষে কয়েকটি স্থানে বিক্রি করা হবে।
টিসিবির এই উদ্যোগটি প্রশংসনীয়, যদিও প্রয়োজনের তুলনায় তা খুবই সামান্য। টিসিবিকে এই উদ্যোগের সম্প্রসারণ করতে হবে। প্রাপ্তিস্থানের সংখ্যা বাড়াতে হবে, যেন ক্রেতাকে দীর্ঘ সারিতে না দাঁড়াতে হয়। পাশাপাশি চেইন স্টোরের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে পণ্য বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। আমরা চাই, বাজার নিয়ন্ত্রণে আরো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হোক।
সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন