প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে বিদেশে যাওয়া শ্রমিকদের বেশির ভাগের কোনো ধরনের কাজের দক্ষতা নেই। ফলে একটা বড় অংশকে তাদের কম মজুরি ও নিচু পদে কাজ করতে হয়। আবার কখনো চাকরিচ্যুতিসহ নানা ধরনের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।
দক্ষতা বাড়াতে ২০১১ সালে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন নীতিমালা করা হলেও পরিস্থিতির তেমন কোনো পরিবর্তন ঘটেনি বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। তাঁরা বলছেন, প্রশিক্ষণে আধুনিকতার ছোঁয়া না লাগায় বাংলাদেশে দক্ষ শ্রমিক তৈরি হচ্ছে না।
শুধু বিদেশেই নয়, দেশের ভেতরেও বেশ কিছু পেশায় প্রচুর বিদেশি নিয়োজিত। পর্যাপ্ত দক্ষতা নিশ্চিত করতে পারলে এসব পেশায় স্বদেশিদের নিয়োগ করা সম্ভব হতো। আবার দেশে প্রতিবছর কতজন তরুণের কোন কোন খাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা যেতে পারে, তা নিয়েও কোনো জরিপ নেই।
ফলে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবছর নতুন নতুন বিভাগ খোলা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হচ্ছে। উজ্জ্বল মুখ নিয়ে ভর্তি হওয়া তরুণদের মুখেই পাঁচ বছর পর হতাশার ছায়া। আগে থেকে সঠিক পরিকল্পনা থাকলে এই অবস্থা তৈরি হতো না। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কূটনৈতিক নিষ্ক্রিয়তা।
আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের বাস্তবতায় বাংলাদেশের শ্রমিকরা তুলনামূলকভাবে অদক্ষ। তাই ভালো ও বেশি আয়ের পেশায় বাংলাদেশিদের নিয়োগ কম।
এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে আমাদের নতুন শ্রমবাজার খুঁজে বের করতে হবে। দক্ষ শ্রমশক্তি রপ্তানিতে মনোযোগ দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে সঠিক প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই।
শ্রমবাজারের চাহিদার পরিবর্তন ও দক্ষতার দিকেও দৃষ্টি রাখতে হবে। এর পাশাপাশি জনশক্তি রপ্তানির জন্য নতুন নতুন বাজারও খুঁজে বের করতে হবে।