ঢাকা মহানগরীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা এটাই প্রথম নয়। ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি চুড়িহাট্টায় আগুনে ৭১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। পুরান ঢাকার চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের চার বছর পূর্ণ হওয়ার আগের রাতে গুলশানে এই আগুনের ঘটনা ঘটল।
পুরান ঢাকার নিমতলীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল ২০১০ সালের ৩ জুন। রাসায়নিকের গুদামে আগুন লাগার ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ১২৪ জন। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হতে খুব বেশি সময় লাগেনি সেদিন।
ভয়াবহ এসব দুর্ঘটনা থেকে যথেষ্ট শিক্ষা নেওয়ার ছিল। আমরা কি তা নিতে পেরেছি বা নিয়েছি? আমাদের স্থপতি ও নগর পরিকল্পনাবিদরা যেভাবে পরামর্শ দিচ্ছেন, আমরা কি তা মেনে চলছি? গুলশানের মতো একটি অভিজাত এলাকায় আবাসিক ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে কী করে? ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে ফায়ার সার্ভিসের মাধ্যমে তাঁরা জানতে পেরেছেন যে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছিল বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে।
এ ঘটনায় রাতে তদন্ত কমিটি করেছে ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের ধারণা, লিফট থেকে আগুনের সূত্রপাত হওয়ায় এবং বিলাসবহুল বাসাগুলোর অন্দরসজ্জায় প্রচুর কাঠ ব্যবহৃত হওয়ায় আগুন ব্যাপক মাত্রা পায়। ভবনের কাছে থেকে পানি ছুড়তে পারছিলেন না বলেও সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন তাঁরা। ফলে নিয়ন্ত্রণ করতে কিছুটা সময় লেগেছে।
গুলশানের মতো রাজধানীর অভিজাত এলাকায় বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। এটা প্রমাণ করছে শুধু রাসায়নিক কারখানায় ভরা পুরান ঢাকা নয়, অভিজাত এলাকাও আগুনের ঝুঁকি থেকে মুক্ত নয়। কাজেই অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে সব ভবনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা থাকতে হবে।