নব্বই দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সোনিয়া, ক্যারিয়ারের পিক সময়ে শোবিজ ছেড়ে পাড়ি জমান বিদেশে। সালমান শাহ থেকে শুরু করে সে সময়ের জনপ্রিয় নায়কদের বিপরীতে কাজ করার সুযোগ পেলেও একক নায়িকা হিসেবে সমসাময়িক অনেকের চেয়ে পিছিয়ে ছিলেন তিনি।
যদিও এর জন্য তিনি দাবি করেন পলিটিকসের শিকার হয়েছিলেন। তাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সিনেমা থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হতো অথবা সিনেমায় তার সংলাপ বা গান বাদ দিয়ে দেয়া হতো বলে জানিয়েছেন।
সম্প্রতি গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সোনিয়া বলেন, ‘সে সময়ে আমার বয়স ছিল কম। আমার সঙ্গে অনেক পলিটিকস করা হয়েছে। সেগুলো তখন বুঝতে পারিনি। এখন মনে পড়লে বুঝতে পারি কতটা পলিটিকসের মধ্যে দিয়ে আমাকে এগিয়ে যেতে হয়েছে।তিনি আরো বলেন, ‘নায়ক রাজ রাজ্জাকের হাত ধরেই আমি নায়িকা হয়েছি। রিয়াজের প্রথম সিনেমা ছিল আমার সঙ্গে, আমি দ্বিতীয় সিনেমা করেছি ওমর সানী ভাইয়ের সঙ্গে। সেগুলোর দিকে তাকালে সিনেমায় আমার অবস্থান আরো শক্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটি হয়নি।ফিল্ম পলিটিকস প্রসঙ্গে সোনিয়া বলেন, ‘আমার সাইন করা সিনেমায় অন্য নায়িকা কাজ করেছেন। চুক্তিবদ্ধ হওয়া সিনেমা থেকে আমাকে বাদ পড়তে হয়েছে। একটি সিনেমার কথা বলি, সে সিনেমায় ওমর সানী-মৌসুমী আপা শুটিং করছেন। দুই দিন পর আমার শুটিং করার কথা ছিল। আমি চুক্তিবদ্ধও ছিলাম।কিন্তু শুটিংয়ের আগের রাত জানতে পারি আমাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। শাবনূরের সঙ্গে একটি সিনেমা থেকে আমার সংলাপ ও গান বাদ দেওয়া হয়েছে। এমন আরো অনেক কিছু আমার সঙ্গে ঘটেছে। আরো একটি সিনেমায় আমাকে নেতিবাচক চরিত্রে দেখানো হয়েছে। এটাকেই ফিল্ম পলিটিকস বলে তখন জানতাম না।’
দশম শ্রেণিতে পড়াকালীন সিনেমার প্রস্তাব পান সোনিয়া। তার অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘মাস্তান রাজা’। এ সিনেমার শুটিংয়ের পর এসএসসি পরীক্ষার জন্য কাজ না করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। পরীক্ষা শেষে ‘প্রেম শক্তি’ সিনেমার জন্য ডাক পান তিনি। ৩০ জনের মধ্যে অডিশনে সোনিয়া নির্বাচিত হয়েছিলেন সিনেমাটির জন্য।
সোনিয়াকে সর্বশেষ দেখা গেছে ‘বউ-শাশুড়ির যুদ্ধ’ সিনেমায়। তার উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে ‘স্বপ্নের ঠিকানা, ‘বাংলার নায়ক, ‘শত জনমের প্রেম’, ‘প্রেম প্রতিশোধ’ ‘পরান কোকিলা’, ‘মিথ্যার মৃত্যু’, ‘অজান্তে’, ‘ভয়ংকর সাত দিন’ ইত্যাদি।