English

29 C
Dhaka
রবিবার, এপ্রিল ২৮, ২০২৪
- Advertisement -

রুবেলের কবর স্থায়ী করতে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা চাইলেন স্ত্রী

- Advertisements -

দীর্ঘদিন ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে গত মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে মারা যান ক্রিকেটার মোশারফ হোসেন রুবেল। এদিন রাতেই তাকে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।

Advertisements

বনানীতে কবর স্থায়ীভাবে রাখার জন্য মৃতের পরিবারকে গুণতে হয় বড় অঙ্কের টাকা। রুবেলের ক্ষেত্রেও সেটি ব্যতিক্রম নয়। ১ কোটি টাকা লাগবে এই অলরাউন্ডারের কবর স্থায়ীকরণের জন্য। তাই রুবেলের স্ত্রী ফারহানা চৈতি রুপা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সহায়তা চাইলেন।

আজ শুক্রবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে ছেলেকে নিয়ে কবর জিয়ারতে যান চৈতি। এসময় গণমাধ্যমের কাছে কবর স্থায়ীকরণের আকুতি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা চান তিনি।

চৈতি বলেন, ‘রুবেল তো আসলে আমাদের সবার, তাই না। সে তো দেশের জন্য খেলেছে। মাত্র দুই বছরের জন্য এখানে (বনানী কবরস্থান)। সত্যি কথা বলতে এখানে স্থায়ী করতে হলে অনেক টাকা লাগে, প্রায় এক কোটি টাকা। আমার কাছে তো এতগুলো টাকা নেই। আমি চাই রুবেলের কবরটা স্থায়ী হোক। সে যেন একটু মাটি পায়।’

এ সময় চৈতি জানান, ক্রিকেটারদের জন্য সবসময় এগিয়ে আসেন প্রধানমন্ত্রী। নানা কিছু করেন। প্রয়াত অলরাউন্ডারের জন্যও কিছু করা হবে আশা তার, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার একটাই চাওয়া, উনি তো অনেককে অনেক কিছু দেন। উনি তো আমাদের ক্রিকেটারদের জন্য অনেক কিছু করেন। জীবিত ক্রিকেটারদের জন্য তো ওনার অনেক কিছু…। আমার রুবেলকে, একজন মৃত ক্রিকেটারকে কি একটু মাটি দিবেন না।’

রুবেলের স্ত্রী আরো বলেন, ‘রুবেলের জন্য একটা স্থায়ী মাটি যেন হয়, যাতে আমার ছেলেটা দেখতে পারে। দুই বছর পর তুলে ফেললে আমরা তো পারব না রুবেলকে দেখতে। রুবেল তো কোথাও নেই, শুধু এখানে আছে।’
Advertisements

২০১৯ সালের মার্চে ব্রেন টিউমার ধরা পড়ে রুবেলের। সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ২০১৯ সালের ১৯ মার্চ নিউরো সার্জন এলভিন হংয়ের তত্ত্বাবধানে সফল অস্ত্রোপচার হয় তার। ২০২০ সালে সুস্থ, স্বাভাবিক হয়ে মাঠে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিন্তু নভেম্বরে আবার অসুস্থ হন। ২০২১ সালের জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে এমআরআই করার পর দেখা গেছে, পুরোনো টিউমারটি আবার নতুন করে বাড়ছিল। তারপর থেকে আবার শুরু হয়েছে কেমোথেরাপি। সব মিলিয়ে ২৪টি কেমোথেরাপি নিয়েছেন।

গত ১১ অক্টোবর ইউনাইটেড হাসপাতালেই সর্বশেষ কেমোথেরাপি নিয়েছেন তিনি। এরপর অবস্থার অবনতি হলে গত ১৪ মার্চ আবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। প্রায় এক মাস ধরে সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সম্প্রতি বাসায় নেওয়া হয় তাকে। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন রুবেল।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন