English

31 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, মে ৯, ২০২৪
- Advertisement -

অবিলম্বে উচ্ছেদ করুন: নদী দখল করে ইটভাটা

- Advertisements -
Advertisements
Advertisements

সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে দেশের বেশির ভাগ নদীর আজ দুরবস্থা। পলি জমে দ্রুত ভরাট হয়ে যাচ্ছে। শীতে শুকিয়ে যাচ্ছে। অনেকে তীর বরাবর মাটি ভরাট করে নদীর জায়গা দখল করছে।

এখন সারা দেশেই চলছে এই প্রতিযোগিতা। কেউ নদীর জায়গা দখল করে ইটভাটা বানাচ্ছে, কেউ স্থাপনা নির্মাণ করছে, কেউ বা খামার বা অন্যান্য অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।  প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় বিষখালী নদীর জায়গা ভরাট করে গড়ে তোলা হয়েছে দুটি ইটভাটা। প্রতিবছর ইট, সুরকি ও মাটি ফেলে নদী ভরাট করা হয় এবং একটু একটু করে বাড়ানো হয় ভাটার সীমানা। এতে নদীর স্রোত বাধাগ্রস্ত হয়ে অন্যদিকে ভাঙন সৃষ্টি করছে।
বরগুনায় নদী দখলের খবর আগেও প্রকাশিত হয়েছে। শুধু বরগুনা নয়, সারা দেশেই চলছে নদী দখলের এই প্রতিযোগিতা। ঢাকার আশপাশের নদীগুলোতে কয়েক বছর ধরে অভিযান চালিয়েও পুরোপুরি দখলমুক্ত করা যায়নি। একদিকে দখলমুক্ত করা হয়, অন্যদিকে দখল ও ভরাট প্রক্রিয়া শুরু হয়। ২০১৯ সালের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, খুলনার পাঁচটি উপজেলায় নদীর জায়গা দখল করে ২৭টি ইটভাটাসহ বহু স্থাপনা গড়ে উঠেছে। গত তিন বছরে নিশ্চয়ই সেখানে দখলদারি আরো বেড়েছে।
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত আড়িয়ালখাঁ নদটিকে প্রায় মেরে ফেলা হয়েছে। নদের মাত্র পাঁচ কিলোমিটার এলাকায় দুই পার সংযুক্ত করে পাঁচটি বাঁধ দেওয়া হয়েছে। কোনো কোনো বাঁধের ওপর ইট বিছিয়ে সড়ক বানানো হয়েছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, দেশে একসময় হাজারের বেশি নদী ছিল। ৭০০ নদীর তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। অথচ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্য বলছে, বর্তমানে কোনো রকমে টিকে আছে ৪৩০টি নদী। অপরিকল্পিত বাঁধ, স্লুইস গেট, দখল ও দূষণে এই নদীগুলোর অবস্থাও সংকটাপন্ন। বেশির ভাগ নদীতে বর্ষার দু-তিন মাস ছাড়া পানি থাকে না।
নদীরক্ষার উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে হাইকোর্ট বিভিন্ন সময়ে অনেক নির্দেশনা দিয়েছেন। কিন্তু মানা হয়েছে খুবই কম। হাইকোর্ট নদীকে জীবন্ত সত্তা ঘোষণা করেছেন। নদী মেরে ফেলার উদ্যোগকে তাই হত্যাচেষ্টা হিসেবেই দেখতে হবে। দেশের প্রচলিত আইনেও নদী দখল ও ভরাটের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু সেসব আইন, নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবে কে? অভিযোগ আছে, স্থানীয় প্রশাসনের যোগসাজশেই নদী দখল ও ভরাট করা হয়।

বরগুনায় বিষখালী নদীর জায়গা দখল করে গড়ে ওঠা ইটভাটাগুলো অবিলম্বে উচ্ছেদ করা হোক। একই সঙ্গে ভরাট করা অংশগুলো খননের মাধ্যমে নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনা হোক। সারা দেশে নদীখেকোদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন