English

37 C
Dhaka
রবিবার, এপ্রিল ২৮, ২০২৪
- Advertisement -

আইনের যথাযথ প্রয়োগ করুন: সর্বনাশা ইটভাটা

- Advertisements -
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কোনো কোনো গবেষণায় উঠে এসেছে, কেবল বায়ুদূষণের কারণে বাংলাদেশে বছরে প্রায় এক লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। আর বায়ুদূষণে প্রধান ভূমিকা রাখে প্রচলিত পদ্ধতির ইটভাটা। বন, পাহাড়, ফসলি জমি, গাছপালা—সুস্থ পরিবেশের জন্য জরুরি প্রায় সব কিছুই ধ্বংস করে দিচ্ছে এসব ইটভাটা। এসব ইটভাটা যতটা না বৈধ, তার চেয়ে অনেক বেশি অবৈধ।
তার পরও কোন কারণে এসব ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না? কারণ একটাই। আর তা হলো ‘ঘুষ বাণিজ্য’।
গণমাধ্যমে প্রতিনিয়ত বৈধ-অবৈধ ইটভাটার অবৈধ কর্মকাণ্ডের খবর আসছে। 
একটি খবরে বলা হয়েছে, চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও সাতকানিয়া উপজেলার সংযোগস্থলে চূড়ামনি ঢালায় ছনখোলা পাহাড় এবং লটমনি পাহাড়ের দুই বর্গকিলোমিটার এলাকায় ১৮টি অবৈধ ইটভাটা রয়েছে। একসময় প্রচুর ছন উৎপাদিত হতো বলে নাম হয় ছনখোলা পাহাড়।
এখন ছনের কোনো অস্তিত্বই নেই এসব পাহাড়ে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ২৬টি পাহাড়ের মাটি কেটে প্রায় সাবাড় করে ফেলা হয়েছে।
এক্সকাভেটরের আঘাতে এরই মধ্যে সম্পূর্ণ অস্তিত্ব হারিয়েছে কয়েকটি পাহাড়। এসব ইটভাটায় বনের কাঠ পোড়ানো হয়। পরিবেশ অধিদপ্তর মাঝেমধ্যে লোক-দেখানো অভিযান চালায় ও কিছু জরিমানা করে। কিন্তু ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ হয় না।
অপর এক খবরে বলা হয়, কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে প্রায় তিন দশক ধরে পরিচালিত হচ্ছে দুটি ইটভাটা।
এগুলো হলো থানাহাট ইউনিয়নের ফকিরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ঘেঁষা এসটি ব্রিকস এবং বালাবাড়ী কিশামতবানু নালারপাড় এলাকায় নালারপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে ওয়ারেছ ব্রিকস। দুটিরই দূরত্ব বিদ্যালয় থেকে ২০০ গজের মধ্যে। অথচ ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৯ অনুযায়ী বিশেষ কোনো স্থাপনা, রেলপথ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও ক্লিনিক, গবেষণাপ্রতিষ্ঠান কিংবা অনুরূপ কোনো স্থান বা প্রতিষ্ঠানের এক কিলোমিটারের মধ্যে কোনো ইটভাটা স্থাপন বা পরিচালনা করা যাবে না।
সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কিংবা পরিবেশ অধিদপ্তর এমন ইটভাটার অনুমতি বা ছাড়পত্র দিতে পারে না। তাতে কি? ইটভাটা তো চলছে। কোনো কোনো ভাটা মালিকের বক্তব্য, প্রশাসনকে ‘ম্যানেজ’ করেই ইটভাটা চালাচ্ছি।
আগের দিনের একটি খবরে দেখা যায়, ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার নাওগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫০ গজেরও কম দূরত্বে ১৭ বছর ধরে চলছে ‘মায়ের দোয়া ব্রিকস’। প্রশাসনের কাছে অনেক অভিযোগ দিয়েও কোনো কাজ হয়নি।
জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ রক্ষার প্রয়োজনে অবিলম্বে অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন