English

31 C
Dhaka
রবিবার, এপ্রিল ২৮, ২০২৪
- Advertisement -

কার্যকর উদ্যোগ নিন: রোজার আগে বাজারে অস্থিরতা

- Advertisements -
পবিত্র রমজান মাসের আগে আগে নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়ে যায়, এটি প্রতিবছরের চিত্র। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বরং দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়াটি এ বছর একটু আগেভাগেই শুরু হয়েছে। নানা রকম সিন্ডিকেটের তৎপরতা লক্ষ করা যাচ্ছে।
ডাল, তেল, চিনি, খেজুরসহ রোজায় বেশি ব্যবহৃত হয় এমন প্রায় প্রতিটি খাদ্যপণ্যের দামই বেড়ে গেছে। সরকার এরই মধ্যে চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে। চাল, চিনি, ভোজ্য তেল ও খেজুরের আমদানি শুল্ক হ্রাস করেছে। টিসিবিকে আরো বেশি তৎপর করা হয়েছে।
বাজার মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে। অভিযান পরিচালনাসহ আরো কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, কিন্তু বাজারে সেসবের প্রভাব খুব একটা পরিলক্ষিত হচ্ছে না।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারেই বাজার সহনশীল ও যৌক্তিক করার প্রতিশ্রুতি ছিল। নতুন সরকারের অন্যতম করণীয় হিসেবেও একে গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের তাগিদ দিয়ে চলেছেন। তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে চারটি পণ্যের আমদানি শুল্ক কমানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু দীর্ঘদিনে দেশে গড়ে ওঠা কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর সিন্ডিকেটও কম শক্তিশালী নয়। তারা বাজার নিয়ন্ত্রণ করার মতো ক্ষমতা অর্জন করেছে। মজুদদারির মাধ্যমে বাজারে সরবরাহ শৃঙ্খল বিনষ্ট করতে পারছে।
এরই মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর অভিযানে বিভিন্ন স্থানে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বিভিন্ন পণ্যের অবৈধ মজুদ পাওয়া গেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বিচ্ছিন্ন কিছু উদ্যোগ এই ক্ষেত্রে খুব একটা কার্যকর হবে না। প্রয়োজন হবে সমন্বিত পদক্ষেপের।
কখন বাজারে কোন পণ্যের ঘাটতি হতে পারে, তা জেনে আগেভাগেই আমদানির মাধ্যমে বাজারের সরবরাহ শৃঙ্খল ঠিক রাখতে হবে। অভিযোগ আছে, সিন্ডিকেটের অনেক সদস্য আমদানির সঙ্গে জড়িত। বাজার অস্থিতিশীল করার জন্য সময়বিশেষে তারা পরিকল্পিতভাবে আমদানি বিলম্বিত করে। তাই তাদের হাতে আমদানি সীমিত না রেখে আমদানিকারকের সংখ্যা বাড়াতে হবে।
গত রবিবার অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকেও প্রধানমন্ত্রী পবিত্র রমজান মাসে খাদ্যপণ্যের দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। এই লক্ষ্যে তিনি বেশ কিছু দিকনির্দেশনাও দিয়েছেন।
জানা যায়, এসব নির্দেশনার মধ্যে বাজারে পণ্য সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন করা, পণ্য পরিবহন পর্যায়ে যেন কোথাও কোনো প্রতিবন্ধকতা না থাকে, বাজার ব্যবস্থাপনায়ও যাতে কোনো সমস্যা না থাকে—এসব দেখতে বলা হয়েছে। নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়নে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে এরই মধ্যে নানা ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
আমরা আশা করি, আসন্ন রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই থাকবে। পাশাপাশি সারা বছরই বাজার সহনশীল রাখতে জোরদার স্থায়ী উদ্যোগ প্রয়োজন।
সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন