কোনো কোনো বছর সেপ্টেম্বর মাসে হঠাৎ পানি বৃদ্ধি ও বন্যার রেকর্ড আছে। কিন্তু অক্টোবর মাসের শেষ দিকে ব্যাপক পানি বৃদ্ধি, নদীভাঙন ও ফসলের মাঠ তলিয়ে যাওয়ার ঘটনা আগে কখনো দেখেননি বলে জানিয়েছেন যমুনা ও পদ্মাপারের অনেক মানুষ। অক্টোবরের মাঝামাঝি উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে যমুনায় দ্রুত পানি বাড়তে থাকে। এতে কুড়িগ্রাম থেকে শুরু করে সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত বিস্তীর্ণ নিচু এলাকার ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে উজানের পাহাড়ি ঢলে যমুনা, ঝিনাই ও সুবর্ণখালীর নদ-নদীর পানি বেড়েছে। আকস্মিক বন্যায় তলিয়ে গেছে উপজেলার চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চলের ১০ গ্রামের ফসল। এতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন কয়েক হাজার কৃষক। এমন খবরাখবর আসছে যমুনা অববাহিকার আরো অনেক এলাকা থেকেই।প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশে এমন দুর্যোগ আগেও ছিল, এখনো আছে।
কিন্তু নদীগুলোর এত দুরবস্থা আগে ছিল না। নদীর গভীরতা নেই বললেই চলে। এর ফলে বন্যা ও নদীভাঙনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেড়ে গেছে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের গ্রহণ করা ডেল্টা প্ল্যান খুবই কার্যকর পরিকল্পনা। এখন এর যথাযথ বাস্তবায়ন প্রয়োজন। তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় কিছু আশু কর্মসূচিও থাকতে হবে। আমরা আশা করি, নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পুনর্বাসনে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পাশাপাশি নদী সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।