English

29 C
Dhaka
রবিবার, এপ্রিল ২৮, ২০২৪
- Advertisement -

চিকিৎসার সুবিধা বাড়ান: ভয়াবহ রূপে ডেঙ্গুর বিস্তার

- Advertisements -
ডেঙ্গু সারা দেশেই ভয়াবহ রূপে ছড়িয়ে পড়েছে। গত কয়েক দিনের হাসপাতালভিত্তিক হিসাবে দেখা যায়, প্রতিদিনই তিন হাজারের বেশি রোগী ভর্তি হচ্ছে। এর বাইরে অনেক বেসরকারি ক্লিনিকে রোগী ভর্তি হচ্ছে। অনেকে বাড়িতে থেকেও চিকিৎসা নিচ্ছে।
ফলে ডেঙ্গু রোগীর প্রকৃত হিসাব আমরা পাচ্ছি না। একইভাবে পাচ্ছি না মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা। সরকারি হিসাবে চলতি বছর এরই মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা ৮০০ ছাড়িয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, আগামী অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গুর প্রকোপ খুব একটা কমবে না।
ডেঙ্গু মশাবাহিত একটি রোগ। প্রধানত এডিস ইজিপ্টি প্রজাতির মশাই ডেঙ্গু সংক্রমণের জন্য দায়ী। এডিস আলবোপিকটাস মশাও ডেঙ্গুর ভাইরাস ছড়াতে পারে। ডেঙ্গু সারা বছরই হতে পারে, তবে বর্ষায় এর সংক্রমণ অনেক বৃদ্ধি পায়।
কারণ এ সময় মশার প্রজনন বেশি হয় এবং মশার সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এ জন্য বর্ষা আসার আগেই মশা নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক উদ্যোগ নিতে হয়। কিন্তু এ বছর আমরা তা করতে খুব একটা সফল যে হইনি ডেঙ্গুর প্রকোপ ও মশার ঘনত্ব তেমন ধারণাই দেয়।
আমরা শুধু মশা নিধনেই ব্যর্থ হয়েছি তা নয়, ডেঙ্গুর চিকিৎসা ব্যবস্থাপনাও ঠিকমতো করতে পারিনি। ডেঙ্গু চিকিৎসায় অত্যন্ত জরুরি হচ্ছে আইভি ফ্লুইড স্যালাইন।
কারণ রোগীর শরীরে ফ্লুইড বা তরল পদার্থের ঘাটতি হয় এবং তা পূরণ করা না হলে তার অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। এরই মধ্যে এই স্যালাইনের সংকট অত্যন্ত তীব্র আকার ধারণ করেছে। কোনো কোনো রোগীর দিনে কয়েকটি স্যালাইনের প্রয়োজন হয়।
রোগীর স্বজনদের তিন-চার গুণ দাম দিয়ে এই স্যালাইন সংগ্রহ করতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে সরকার জরুরি ভিত্তিতে ২০ লাখ আইভি স্যালাইন আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে।
কিন্তু এই সিদ্ধান্তও এসেছে অনেক দেরিতে। এমনকি সাধারণ একটি ডাবের দামও কয়েক গুণ হতে দেখা গেছে। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে টেকনিশিয়ানের অভাবে প্লাটিলেট মেশিন অব্যবহৃত পড়ে আছে।
ফলে পুরো বিভাগের প্লাটিলেট কমে যাওয়া গুরুতর ডেঙ্গু রোগীদের ঢাকায় পাঠানো হয়। ঢাকায় আসতে আসতে রোগীর অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে যায় যে তখন চিকিৎসকদের করার প্রায় কিছুই থাকে না।
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন মশা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি চালিয়ে গেলেও এডিস মশার ঘনত্ব খুব একটা কমছে না। সাধারণত সিটি করপোরেশনের কর্মীরা নালা-নর্দমায় লার্ভানাশক ছিটায় এবং ফগার মেশিন চালিয়ে উড়ন্ত মশা মারে।
কিন্তু ফগার মেশিনের ধোঁয়া বাড়ির ভেতরে থাকা মশা খুব একটা মারতে পারে না। বহুতল ভবনের ওপরের দিকে বাসার ভেতরে ধোঁয়া খুব একটা প্রবেশ করে না।
আবার বাসার দরজা-জানালাও বন্ধ রাখা হয়। জরিপে ঢাকার ২৫ শতাংশ বাড়িতেই এই মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। অন্যান্য শহরের চিত্রও কমবেশি একই রকম।
তাই ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে হলে সবার আগে এডিস মশা নিধন করতে হবে। সিটি করপোরেশনগুলোকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। পাশাপাশি নাগরিকদেরও সচেতন হতে হবে। চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার বিদ্যমান দুর্বলতাগুলো দ্রুত দূর করতে হবে।
সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন