English

39 C
Dhaka
বুধবার, মে ১, ২০২৪
- Advertisement -

চিকিৎসার সুযোগ বাড়াতে হবে: হিমোফিলিয়া রোগীদের দুর্দশা

- Advertisements -
আমাদের চিকিৎসাব্যবস্থার দুর্বলতা রীতিমতো আকাশছোঁয়া। অনেক রোগেরই চিকিৎসা প্রান্তিক পর্যায়ের অধিকাংশ মানুষের নাগালের বাইরে। অনেক রোগের চিকিৎসা রাজধানী কিংবা কয়েকটি বড় শহরকেন্দ্রিক। গ্রামের বেশির ভাগ দরিদ্র মানুষের পক্ষে রাজধানীতে এসে দীর্ঘ অপেক্ষায় থেকে চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না।
তাই অনেক রোগীর অকাল মৃত্যু ঘটে। তেমনি একটি রোগ হচ্ছে হিমোফিলিয়া। এটি রক্তের বিশেষ ধরনের রোগ। এর ফলে রোগীর রক্ত জমাট বাঁধার ক্ষমতা হ্রাস পায়।
আঘাত পেলে বা কেটেছিঁড়ে গেলে রক্তপাত দীর্ঘক্ষণ ধরে চলতে থাকে। রোগ গুরুতর হলে অনেক সময় কারণ ছাড়াই রক্তক্ষরণ হয়।
মাংসপেশি ও হাড়ের সংযোগস্থল ফুলে প্রচণ্ড রকম ব্যথা হয়। অনেক সময় অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণে রোগীর অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে যায়।
সারা দেশেই এ ধরনের রোগী রয়েছে। কিন্তু চিকিৎসার সুযোগ রয়েছে মূলত ঢাকায়। এ ছাড়া চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও চিকিৎসার সীমিত সুযোগ রয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে গতকাল অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হয়েছে বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবস। এবার দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘সকল রোগীর চিকিৎসা নিশ্চিত করুন’।
বাংলাদেশে হিমোফিলিয়া রোগীর সংখ্যা কত তার সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই। গতকাল কালের কণ্ঠে এ বিষয়ে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অব হিমোফিলিয়ার তথ্য মতে, বাংলাদেশে প্রতি লাখে ১০ জন মানুষ হিমোফিলিয়া রোগে আক্রান্ত। সে হিসাবে দেশে প্রকৃত রোগীর সংখ্যা হওয়ার কথা প্রায় ১৭ হাজার।
অথচ শনাক্ত রোগী মাত্র তিন হাজারের কিছু বেশি। অর্থাৎ প্রায় ৮২ শতাংশেরই রোগ এখনো শনাক্ত নয়। হিমোফিলিয়ার চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং দীর্ঘমেয়াদি। ওষুধও সহজলভ্য নয়। এ কারণে অধিকাংশ রোগী শেষ পর্যন্ত চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারে না।
এতে কম বয়সেই অনেক রোগীর মৃত্যু হয়। যারা বেঁচে থাকে, তাদেরও অনেকে যথাযথ চিকিৎসার অভাবে পঙ্গুত্ব বরণ করে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, কারো রক্তক্ষরণ শুরু হলে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসা শুরু করা প্রয়োজন।
তা নাহলে মাংসপেশি, অস্থিসন্ধিতে রক্তক্ষরণ হয়ে সে জায়গায় রক্ত জমাট বেঁধে ফুলে যায় এবং প্রচণ্ড ব্যথা হতে থাকে। এ জন্য রোগীর নিজ এলাকায় চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকা জরুরি।
বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবসের প্রতিপাদ্যের সঙ্গে একমত প্রকাশ করে আমরাও বলতে চাই, সারা দেশে হিমোফিলিয়া রোগীদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। উপজেলা হাসপাতালগুলোতে রোগ শনাক্ত করাসহ প্রাথমিক চিকিৎসা নিশ্চিত করার সুযোগ রাখতে হবে।জেলা হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসার অধিকতর সুযোগ-সুবিধা গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি রোগটি সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিরও উদ্যোগ নিতে হবে।
সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন