English

31 C
Dhaka
সোমবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৪
- Advertisement -

পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক রাখুন: নদী দখল করে পুকুর তৈরি

- Advertisements -
নদীমাতৃক বাংলাদেশের প্রকৃতি, জনজীবন, চাষাবাদ—প্রায় সবই নদীনির্ভর। তাই বলা হয়, নদী বাঁচলে দেশ বাঁচবে। কিন্তু বাস্তবে কী হচ্ছে? প্রতিনিয়ত নদীর মৃত্যু হচ্ছে। সারা দেশেই নদী দখলের প্রতিযোগিতা চলছে।
নদীর ওপর আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে এবং নদীর প্রবাহ বন্ধ করে রাস্তা বানানো হচ্ছে। মাটির পার তৈরি করে মাছের ঘের বা পুকুর বানানো হচ্ছে। নদী ভরাট করে স্থাপনা তৈরি করা হচ্ছে। নদীতে বর্জ্য ফেলে ভরাট ও দূষণ করা হচ্ছে।
এমনি আরো কত কি? প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, যশোরের মণিরামপুরের মুক্তেশ্বরী নদী দখল করে সম্প্রতি এক ব্যক্তি পুকুর খনন করেছেন। উপজেলার ঢাকুরিয়া ইউনিয়নের বারপাড়া গ্রামে নদীর প্রায় এক বিঘা জমি দখলে নিয়ে পুকুর খনন ও উঁচু পার তৈরি করার ফলে নদীর পানিপ্রবাহও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। অবিলম্বে ব্যবস্থা না নিলে অনেকেই এ ধরনের আরো পুকুর খননে উদ্যোগী হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

 

দেশে একসময় নদী ছিল সহস্রাধিক, কারো কারো মতে, আড়াই হাজারের বেশি।

বর্তমানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) হিসাবে, কোনো রকমে টিকে আছে ৪৩০টি নদী। এর মধ্যে বেশির ভাগ নদীতে শুষ্ক মৌসুমে পানি থাকে না। আর এর সুযোগ নিয়ে সারা দেশেই নদী ভরাট করে ফসলি জমি বানানো কিংবা স্থাপনা তৈরির হিড়িক লেগেছে। এমন পরিস্থিতিতে উচ্চ আদালত নদীকে জীবন্ত সত্তা ঘোষণা করেছেন।
নদী রক্ষায় দফায় দফায় নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।শ্বাস রোধ করে মানুষ হত্যা করার মতোই বাঁধ দিয়ে নদীর প্রবাহ রোধ করাকে একই ধরনের অপরাধ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া দেশে নদী রক্ষায় অনেক আইন রয়েছে। সেসব আইন অনুযায়ীও নদীর প্রবাহ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এমন যেকোনো কর্মকাণ্ড শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু কে শোনে কার কথা!প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, ঢাকুরিয়া ইউনিয়নের বারপাড়া গ্রামে মুক্তেশ্বরীর পূর্বপারে রয়েছে কুণ্ডুপাড়া। ওই পাড়ায় নিজেদের জমির সঙ্গে থাকা নদীর প্রায় এক বিঘা জমিজুড়ে মাছ চাষের জন্য পুকুর খনন করেছেন কংকন কুণ্ডু নামের এক ব্যক্তি। স্থানীয় লোকজন বলছে, এখন পর্যন্ত কেউ মুক্তেশ্বরী দখল করতে সাহস করেনি। কংকন কুণ্ডুর দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে এখন প্রভাবশালী অনেকেই নদীতে পুকুর কাটার চেষ্টা করবে। অবিলম্বে এই প্রবণতা বন্ধ হওয়া উচিত।

আমরা চাই, মুক্তেশ্বরী নদীতে গড়ে তোলা পুকুর পারসহ অবিলম্বে অপসারণ করা হোক। পাশাপাশি দেশের নদী রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড, জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট অন্যরা তাদের ভূমিকা যথাযথভাবে পালন করুক। নদীর প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করার সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হোক।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন