English

29 C
Dhaka
রবিবার, এপ্রিল ২৮, ২০২৪
- Advertisement -

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক পুরস্কার: ইউনেসকোর প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা

- Advertisements -
Advertisements
Advertisements

জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা (ইউনেসকো) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে পুরস্কার প্রবর্তন করেছে। ‘ইউনেসকো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ ইন দ্য ফিল্ড অব ক্রিয়েটিভ ইকোনমি’ নামের এই আন্তর্জাতিক পুরস্কারটির আর্থিক মূল্যমান হবে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। প্রথমবার পুরস্কারটি দেওয়া হবে ২০২১ সালের নভেম্বরে। রবিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানান, গত ১১ ডিসেম্বর শেষ হওয়া ইউনেসকো নির্বাহী পরিষদের শরৎকালীন অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
ইউনেসকো শিক্ষা, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান, প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন অঙ্গনে অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর আর্থিক সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক পুরস্কার দিয়ে থাকে। বর্তমানে খ্যাতিমান ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে ইউনেসকোর ২৩টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার রয়েছে। এই প্রথম বাংলাদেশের মহান নেতার নামে ইউনেসকো একটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রবর্তন করল।
১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে শুধু হত্যাই করা হয়নি, ইতিহাস থেকে তাঁর নাম মুছে ফেলার অনেক অপচেষ্টা করেছিল স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি। অনেক দলিল নষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল। বিকৃত ইতিহাস রচনার মতো ঔদ্ধত্য দেখানো হয়েছিল। অপশক্তির সঙ্গে হাত মেলানো জেনারেল জিয়াকে ‘স্বাধীনতার ঘোষক’ তকমা দিয়ে এমন প্রচার চালানো হলো, যেন ‘বাঁশের চেয়ে কঞ্চি বড়’ প্রবাদটিও হার মেনে যায়। কিন্তু ওরা জানে না যে ইতিহাস বদলানো যায় না।
আর সে কারণেই ওসব অপচেষ্টা ধুলার মতো উড়ে গেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারা জীবন শোষিত, নিপীড়িত মানুষের জন্য সংগ্রাম করেছেন। অনেক আত্মত্যাগ করেছেন। শুধু বাঙালি জাতি নয়, সারা বিশ্ব তার স্বীকৃতি দিয়েছে। ২০০৪ সালে বিবিসি বাংলার জরিপে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে স্বীকৃতি পান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ আজ আন্তর্জাতিক সম্পদ। ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ইউনেসকো এই ভাষণকে বিশ্বপ্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
ওই বছরের ২৪ থেকে ২৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত বৈঠকে ভাষণটি ‘ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্ট্রারে’ তালিকাভুক্তির সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থাটির ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভাইজরি কমিটি। প্রধান প্রধান প্রায় সব ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর জীবনকথা। বঙ্গবন্ধুর স্মারক, প্রতিকৃতি ও ভাস্কর্য স্থাপিত হয়েছে অনেক দেশে। কয়েক দিন আগে তুরস্ক ঘোষণা করেছে, তারা আংকারায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপন করতে যাচ্ছে। স্বাধীনতাবিরোধী কতিপয় অপশক্তির কি সাধ্য আছে ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার? এমন অপচেষ্টা যারাই করবে, তারাই মুছে যাবে।
আমাদের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে পুরস্কার প্রবর্তন করে তাঁর প্রতি জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা ইউনেসকো যে সম্মান দেখিয়েছে, তা শুধু বঙ্গবন্ধুর জন্য নয়, সমগ্র বাঙালি জাতির জন্য অত্যন্ত গৌরবের বিষয়, সম্মানের বিষয়। ইউনেসকোর প্রতি আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন