বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, প্রাথমিক অবস্থায় শিশুদের ক্যান্সার শনাক্ত করা গেলে শতকরা ৯৫ ভাগ শিশুকেই সুস্থ করা সম্ভব। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক যে বেশির ভাগ রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় রোগের শেষ ধাপে, যখন চিকিৎসকদের করার আর কিছুই থাকে না। এর জন্য রোগীর অভিভাবকরা যেমন দায়ী, তেমনি দায়ী দেশের প্রচলিত চিকিৎসাব্যবস্থা।
রোগের প্রথম অবস্থায় এখনো অনেক অভিভাবক ঝাড়ফুঁক, কবিরাজি কিংবা হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা দিয়ে থাকেন শিশুদের। আবার অনেকে আশপাশে থাকা ক্লিনিক বা চিকিৎসকের কাছে গেলেও তাঁরা রোগ নির্ণয়ে যথেষ্ট আন্তরিকতা দেখান না। রোগীর ইতিহাস নিলে দেখা যায়, চূড়ান্ত পর্যায়ে ক্যান্সার নির্ণয়ের আগেও তারা বেশ কয়েকজন চিকিৎসককে দেখিয়েছে বা হাসপাতালে গেছে। তাঁরা রোগ ধরতে পারেননি। তাই বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সারা দেশে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার আধুনিক ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন।
সরকারি হাসপাতালে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসাসংক্রান্ত যন্ত্রপাতিরও অভাব রয়েছে। যন্ত্রপাতি অচল হয়ে পড়ে থাকে। রোগীরা সেবা পায় না। আবার ক্যান্সারের চিকিৎসা ব্যয়বহুল হওয়ায় বেশির ভাগ রোগীর পরিবারের পক্ষে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য থাকে না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতি ১০ লাখ মানুষের জন্য একটি সমন্বিত ক্যান্সার চিকিৎসাকেন্দ্র থাকা দরকার, যেখানে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকবে। কিন্তু আমাদের আছে মাত্র ৩৩টি কেন্দ্র, তা-ও পূর্ণাঙ্গ নয়। অনেক কেন্দ্র চলে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে।